close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ চালু হচ্ছে—আর্থিক স্বচ্ছলতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের বড় সুযোগ। ব্যয় কমবে সরকারের, উপকৃত হবে শিক্ষার্থীরাও।..

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী উদ্যোগ—এখন থেকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ পাবেন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা। যেসব পদে স্থায়ী নিয়োগের প্রয়োজন নেই, সেসব পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ শুধু সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ই নয়, তরুণদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও কর্ম-অভিজ্ঞতার এক নতুন দিগন্তও খুলে দেবে।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সম্প্রতি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।

ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা লিখেছেন:আমরা সরকারের বিভিন্ন অফিসে পার্টটাইম চাকরিতে নিয়োগ দিতে চাই শিক্ষার্থীদের। বিভিন্ন দপ্তরে কিছু পদে ফুল টাইমে স্থায়ী নিয়োগ দরকার হয় না। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে কাজ করানো হলে সরকারের খরচ কমবে এবং তারা নিজেরাও উপকৃত হবে।

তিনি জানান, শুধু সরকারি ব্যয় কমানোই নয়, বরং ছাত্রছাত্রীদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী করাই এ উদ্যোগের অন্যতম উদ্দেশ্য।

এই উদ্যোগের প্রেক্ষাপট আরও স্পষ্ট হয় গত শনিবার (১৫ জুন), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া উপদেষ্টার বক্তব্যে।
তিনি সেখানে জানান,৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে পার্টটাইম হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের নিয়োগের সাফল্যের দিক মাথায় রেখেই সরকারি অফিসগুলোতে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার চিন্তা করছি।

এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তাই এবার সেটিকে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে চায় সরকার।

বর্তমানে প্রস্তাবনাটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী,আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং কীভাবে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এই মুহূর্তে কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলেও, শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাঠামো, শর্তাবলি এবং আবেদন পদ্ধতি জানানো হতে পারে।

সম্ভাব্য সুবিধাসমূহ:

  • অর্থ উপার্জনের সুযোগ পড়াশোনার পাশাপাশি

  • ব্যবহারিক কাজের অভিজ্ঞতা

  • ফ্লেক্সিবল সময়সূচি

  • ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের প্রস্তুতি

  • নিজ খরচ নিজেই চালানোর সক্ষমতা

  • সরকারি কার্যক্রমে সরাসরি সম্পৃক্ততার সুযোগ

এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এটি বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে এক বিপ্লবী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। উন্নত দেশগুলোর মতো, আমাদের শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার পাশাপাশি উপার্জনের সুযোগ পাবে, যা তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে এবং একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নেও রাখবে সক্রিয় ভূমিকা।

Không có bình luận nào được tìm thấy