close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সন্ত্রাসবাদীদের বোন’ কর্নেল সোফিয়াকে নিয়ে মন্তব্য করা বিজেপি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ হাই কোর্টের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ হলেও থামেনি আন্দোলন। জুলাইয়ের আন্দোলনে আহতদের দাবি—চিরতরে নিষিদ্ধ হোক আওয়ামী লীগ, স্বীকৃতি পাক 'জুলাই সনদ', এবং নিশ্চিত হোক আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা।..

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ হলেও থামেনি আন্দোলন। জুলাইয়ের আন্দোলনে আহতদের দাবি—চিরতরে নিষিদ্ধ হোক আওয়ামী লীগ, স্বীকৃতি পাক 'জুলাই সনদ', এবং নিশ্চিত হোক আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা।

পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন:
রাজধানীর কেন্দ্রস্থল শাহবাগ রোববার সকাল থেকেই পরিণত হয়েছে এক দাবিমুখর প্রতিবাদের মঞ্চে। ‘জুলাই আন্দোলন’ নামে পরিচিত ইতিহাসের সেই রক্তাক্ত ঘটনায় আহতদের একটি দল আজ রাজপথে অবস্থান নিয়ে দাবি তুলেছে—সর্বদলীয় সরকারের ঘোষণাকে যথেষ্ট মনে করছে না তারা। বরং আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার দাবিতেই তারা এখন রাজপথে।

শনিবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসে—আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিচারাধীন থাকা অবস্থায় স্থগিত রাখা হবে। সরকার এটিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখালেও আন্দোলনকারীরা বিশেষ করে আহতরা এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন। তাদের বক্তব্য, ‘এই দল একাধিকবার স্বৈরতন্ত্র, সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী। বিচার শেষ না হোক, জনগণের আদালতে তারা ইতিমধ্যেই দোষী। তাদের জন্য রাজনীতিতে কোনো জায়গা থাকতে পারে না।’

তারা আরও বলছে, “আমরা শুধু বিচার চাই না, আমরা নিরাপত্তা চাই। আমাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই। আমরা ফিরে যেতে পারি না, যতক্ষণ না চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগকে।”

আন্দোলনকারীদের মুখে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি—‘জুলাই সনদ’কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। গত ৩ জুলাইয়ের সহিংস ঘটনায় বহু মানুষ আহত হয়েছিল। আহতদের অনেকে এখনো পঙ্গু, অনেকেই জীবিকা হারিয়েছেন। সেই ঘটনার ন্যায়বিচার এবং সেই আন্দোলনের স্বীকৃতির দাবিও নতুন করে সামনে এসেছে।

এদিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করায় সারা রাজধানীজুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। শাহবাগ, বাংলামোটর, কাঁটাবন, টিএসসি ও আশপাশের এলাকায় মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দেয়। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়েন রাস্তায়। অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে জরুরি রোগী, শিক্ষার্থী—সবাই চরম বিপাকে পড়েন।

বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, “এ লড়াই শুধু দলের বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আমরা পিছু হটব না, যতক্ষণ না দাবি পূরণ হয়।”

যদিও এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) শনিবার রাতেই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে মাঠ ছেড়ে দেয়, কিন্তু জুলাই আহতদের একটি বড় অংশ শাহবাগ ছাড়েনি। তাদের মতে, এই মুহূর্তে রাজপথ ছাড়া দাবির বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই আন্দোলন চলবে অনির্দিষ্টকাল।

Nema komentara


News Card Generator