রংপুর বিভাগের বিস্তৃত সীমান্ত অঞ্চলজুড়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামছেন কৃষক ও সাধারণ মানুষ। সীমান্তে চলাচলরত মানুষদের অভিযোগ—কৃষিকাজ, এমনকি স্বাভাবিক চলাফেরার সময়েও বিএসএফ সদস্যরা সন্দেহ করে গুলি চালিয়ে দিচ্ছে। গ্রামবাসীদের ভাষায়, “ঘাস কাটতে গেলেও মনে করে চোরাকারবারি, তারপর গুলি।”
সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি লালমনিরহাটে, যেখানে ৫ বছরে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ ১৭ এপ্রিল সিংগীমারী সীমান্তে হাসিবুল নামে এক যুবককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ, পরে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। তার মায়ের কণ্ঠে ক্ষোভ ও কষ্ট— “রাইফেলের মাথা দিয়ে বুক খুঁচিয়ে ছেলেকে মেরে ফেলেছে। বস্তার মতো গায়ে তুলে নিয়ে গেছে।”
২০১১ সালে কুড়িগ্রামের সীমান্তে ফেলানী হত্যার পরও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। ন্যায়বিচার না পাওয়ার হতাশা এখন প্রজন্মান্তরে পৌঁছেছে। ফেলানীর পরিবার আজও অপেক্ষায়।
বিশ্লেষকদের মতে, এভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা কোনোভাবেই বৈধ নয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ত্বহা হুসাইন বলেন, “সীমান্ত চুক্তিতে স্পষ্ট বলা আছে—প্রবেশকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, প্রাণনাশ নয়।”
বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত টহল জোরদার করার কথা জানানো হলেও বাস্তবে হতাহতের সংখ্যা কমছে না। ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম জানান, সীমান্তের জিরো লাইনে কঠোর নজরদারি চলছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি সীমান্তে নিরীহ প্রাণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
প্রস্তাবিত ইউটিউব থাম্বনেইল টেক্সট (Bangla):
-
৫ বছরে বিএসএফের গুলিতে ১৫১ বাংলাদেশি নিহত!
-
রংপুর সীমান্তে আতঙ্ক—প্রতিদিনের জীবন মৃত্যুভয়!
-
হাসিবুলকে ধরে নিয়ে নির্যাতন, অভিযোগ পরিবারে!