close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সীমান্ত থেকে অবশেষে সিসি ক্যামেরা সরিয়ে নিল বিএসএফ! বিজিবির কড়া প্রতিবাদে ভারতের সাড়া

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কুড়িগ্রাম সীমান্তে টানটান উত্তেজনার পর সমাধান – সরিয়ে নেওয়া হলো ক্যামেরা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের শূন্যরেখায় স্থাপন করা সিসি
কুড়িগ্রাম সীমান্তে টানটান উত্তেজনার পর সমাধান – সরিয়ে নেওয়া হলো ক্যামেরা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের শূন্যরেখায় স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাটি অবশেষে খুলে নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা ক্যামেরাটি অপসারণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান। এক ক্ষুদে বার্তায় তিনি সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ আলোচনার পর বিএসএফ সীমান্তের শূন্যরেখায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সরিয়ে নিয়েছে। কীভাবে ক্যামেরা বসানো হয়েছিল? গত ৯ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) রাত ২টার দিকে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮/৯-এস এর কাছে সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতের অভ্যন্তরে একটি ইউক্লিপটাস গাছে এই ক্যামেরা বসানো হয়। ভারতের ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ছোট গাড়লঝড়া ক্যাম্পের সদস্যরা দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী (জোড়া) মসজিদের সামনে এই নজরদারি ক্যামেরাটি স্থাপন করেছিল, যা মূলত বাংলাদেশের দিকে তাক করা ছিল। বিজিবির তীব্র প্রতিবাদ ও টানটান বৈঠক সিসি ক্যামেরাটি বসানোর পর থেকেই বিজিবি এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সারাদিন এ নিয়ে স্থানীয় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। অবশেষে ১১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় সীমান্তে দুই দেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিলে বিএসএফ ক্যামেরাটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করে। সীমান্ত পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক সিসি ক্যামেরা অপসারণের মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা কমে এসেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সবসময় সজাগ রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপনার মতামত কী? সীমান্তে এই ধরনের নজরদারি ক্যামেরা বসানো উচিত কি না? আপনার মতামত কমেন্টে জানান!
نظری یافت نشد