close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শুল্ক বৃদ্ধি: বেনাপোল দিয়ে দুদিন ধরে ফল আমদানি বন্ধ, বিপর্যয়ে বাজার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি আমদান
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি আমদানিকৃত ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়ানোর পর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগঠনটি জানায়, যদি শুল্ক প্রত্যাহার না করা হয়, তবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য ফল আমদানি বন্ধ রাখবে তারা। অতিরিক্ত শুল্কের ফলে খুচরা বাজারে ফলের দাম বাড়তে শুরু করেছে, বিশেষ করে আপেল, আঙুর, কমলা ও মালটার দাম ৩০-৪০ টাকা কেজি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, এসব ফলকে ‘বিলাসী পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করা অযৌক্তিক, কারণ এগুলো শিশু ও রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার। বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, শুল্ক বৃদ্ধি সরকারের পলিসি অনুযায়ী হয়েছে এবং তাদের কাজ হলো বাস্তবায়ন করা। তবে এনবিআরের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ফল আমদানির শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে, যার ফলে প্রতি কেজি ফলের ওপর ১৬-১৮ টাকা বাড়তি শুল্ক আরোপ হয়েছে। এই পরিস্থিতির ফলে আগামী রমজান মাসে বাজারে ফলের চাহিদা পূরণে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে, যা আমদানিকারক ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফল আমদানি বন্ধ থাকলে বেনাপোল বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেনাপোল বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, ধর্মঘটের কারণে দুই দিন ফল আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় থেকে সরকার কোটি টাকার ক্ষতি সহ্য করবে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবসায়ীরা আশা করছেন শুল্কের পরিমাণ পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Комментариев нет