শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আসার প্রতীক্ষায় যখন পুরো জাতি শোকাতুর, তখন তার শাহাদাতের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের এই বীর যোদ্ধার শেষ বিদায় যেন কোনোভাবেই বিশৃঙ্খলার কারণে কলঙ্কিত না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা এখন সময়ের দাবি।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের প্রধান দুটি সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সংবাদকর্মীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা সহিংসতা না ঘটে, সে বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেকোনো ধরনের উসকানি বা আবেগের বশবর্তী হয়ে নেওয়া পদক্ষেপ হাদির মহান আত্মত্যাগকে ম্লান করে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো সবসময় সুযোগ খোঁজে বাংলাদেশের নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরার। যদি হাদির জানাজা বা দাফনকে কেন্দ্র করে কোনো সহিংসতা ঘটে, তবে বিশ্ব গণমাধ্যমে হাদির বীরত্বগাথা নয়, বরং ভাঙচুর ও আগুনের খবরই প্রাধান্য পাবে। এতে আড়ালে পড়ে যাবে জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনা এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দীর্ঘ লড়াই।
ষড়যন্ত্রকারীরা চায় এ দেশের মানুষ যেন ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে। জুলাইয়ের অর্জনকে নস্যাৎ করতে এবং পতিত স্বৈরাচারী শক্তিকে পুনরায় বৈধতা দিতে একদল কুচক্রী মহল ওঁত পেতে আছে। তারা তরুণদের আবেগকে পুঁজি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। তাই এই ক্রান্তিকালে আমাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও শৃঙ্খলার পরিচয় দিতে হবে। হাদির স্বপ্ন ও নতুন বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত রাখা এবং ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কোনো বিকল্প নেই।



















