দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামীকাল দেশের মাটিতে পা রাখছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০০৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশত্যাগের পর এটিই হবে তার প্রথম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে এক অভূতপূর্ব উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা এটিকে কেবল একজন নেতার ফেরা নয়, বরং 'জাতীয়তাবাদের ঐতিহাসিক পুনরুত্থান' হিসেবে দেখছেন।
তারেক রহমানের রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয়েছিল তার জন্মভূমি বগুড়ার গাবতলী থেকে। ১৯৮৮ সালে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে এলেও ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার মাধ্যমে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে আসেন। ২০০২ সালে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হওয়ার পর তিনি সারা দেশের গ্রামে-গঞ্জে চষে বেড়ান। তবে ২০০৭ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তৎকালীন রিমান্ডে অকথ্য নির্যাতনে তিনি শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে শেষ দেখা করে তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকেও তিনি দলের হাল ছাড়েননি। নেতাকর্মীদের মতে, প্রবাসে থেকে তিনি আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তার নেপথ্য ভূমিকা ও কর্মীদের উজ্জীবিত করার কৌশল ছিল প্রশংসনীয়। একদিকে রাজপথের আন্দোলন, অন্যদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা—এই দ্বিমুখী কৌশলে তিনি দলকে সুসংগঠিত করেছেন। এখন তার প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবি নিয়ে তিনি আগামী দিনে রাজপথে সরাসরি নেতৃত্ব দেবেন, এমনটাই প্রত্যাশা অনুসারীদের।



















