শেরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের সংগঠনভিত্তিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দলটির জেলা পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক মাঠে এনসিপির উপস্থিতি আরও জোরালো হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দলীয় কাঠামোতে ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়া সমন্বয় কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার সঙ্গে সমন্বয়মূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন আলমগির কবির মিথুনসহ একাধিক তরুণ নেতৃবৃন্দ।
দলটির কেন্দ্রীয় একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তির দিকনির্দেশনায়, শেরপুর জেলায় বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি নিয়ে একটি সক্রিয় টিম গঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে যুগ্মভাবে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন—লুৎফর রহমান লাজু, আরকে রেজা, ফিরোজ আহমেদ, এসএম রসিদ সিরাজী নিপুণ ও তান্না ইসলাম।
এছাড়া সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় সদস্য হিসেবে রয়েছেন: আরিফ সাফফারী, আল মামুন সরকার, রাশেদুল হাসান, মাজহার মেহেদি, আবু সালেহ, আশরাফুল আলম মোহন, মো. আব্দুল মান্নান মাস্টার, হুমায়ুন কবির আকাশ, মমিনুল ইসলাম আরব, রুহুল আমিন, মো. জোবায়ের আহমেদ, সুজন মিয়া, সাইফুল ইসলাম, নুর ইসলাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মোবারক হোসেন, মনোয়ার হোসেন, সাব্বির হাসান জুয়েল, উম্মে হাবিবা, কাকন আহমেদ, মো. জাহাঙ্গির জালাল, শারমিন আক্তার ও মো. সাদ্দাম হোসেন।
দলটির সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সংগঠনের বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী কাজ করবেন এই দলবদ্ধ ইউনিট। দলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সম্প্রতি এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
এ বিষয়ে আলমগির কবির মিথুন গণমাধ্যমকে জানান, "শেরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে একটি সুসংগঠিত কাঠামোর মধ্যে আনতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। মানুষের আস্থা অর্জন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করি।"
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নতুন গতিধারা শেরপুরের রাজনীতিতে এনসিপির সক্রিয়তা বাড়াবে এবং তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরে সংগঠনটি মাঠপর্যায়ে নতুনভাবে গড়ে উঠতে পারে।