নারায়ণগঞ্জ থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি:
শাহসূফি ফজর আলী কাদরী ওয়াল চিশতির ১২তম ওফাত দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের মদনগঞ্জ শান্তিনগর কাদরিয়া দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হলো এক মহাসম্মেলনমুখর মিলাদ মাহফিল।
শনিবার বাদ জোহর থেকে শুরু হয়ে পুরো দিনজুড়ে ছিল ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পূর্ণ নানা আয়োজন—আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ, জিকির-আসকার এবং পরবর্তীতে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় দফা মিলাদ মাহফিল। এ দিনটি কেবল একটি স্মরণ দিবসই ছিল না, বরং তা হয়ে উঠেছিল আধ্যাত্মিক চেতনার উৎসব।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা শাহসূফি ফজর আলী কাদরী ওয়াল চিশতির জীবনদর্শন ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার নানা দিক নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেন। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন আতাউর রহমান, আলী আকবর শাহ, মোঃ সোহাগ হোসেন কাদরী, স্থানীয় সাংবাদিক জি এম সুমন, আমির হোসেন, মেহেদী হাসান রিপন, দ্বীন ইসলাম দীপু, কবি ইয়াদি মাহমুদ, কবি কবির সোহেল, মোহাম্মদ হোসেন, ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর ও আবদুল খালেক।
তাঁরা বলেন, শাহসূফি ফজর আলী কাদরীর জীবন ছিল নৈতিকতা, সত্য ও মানবসেবার প্রতীক। তিনি তার জীবনব্যাপী ইসলামের আদর্শ প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর দরবার শরীফ ছিল আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত অসংখ্য মানুষের জন্য।
মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণকারী ভক্তরা বলেন, "আমরা তাঁর আদর্শকে বুকে ধারণ করে চলি। এই দরবার শুধু একটি জায়গা নয়, বরং আমাদের আত্মার প্রশান্তি খোঁজার জায়গা।"
অনুষ্ঠানের শেষে ছিল তবারক বিতরণ, যেখানে হাজারো ভক্ত অংশ নেন। পরে রাতে আয়োজিত হয় এক ভক্তিমূলক ভাবসংগীতের আসর, যা ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ইসলামী সংগীতের তালে-তালে চারপাশ যেন হয়ে ওঠে পবিত্রতায় মোড়ানো এক মোমেন্টাম।
অনুষ্ঠানটি বিনা বিভ্রাটে সম্পন্ন করতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সরব উপস্থিতি ছিল। পুরো এলাকা জুড়ে ছিল ধর্মীয় আবহ, নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল দৃশ্যমান।
স্থানীয় মুসল্লিদের অনেকেই জানান, প্রতিবছর তারা এই মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এমন আধ্যাত্মিক পরিবেশ তাদের জীবনে প্রশান্তি নিয়ে আসে।
এভাবে শাহসূফি ফজর আলী কাদরী ওয়াল চিশতির ১২তম ওফাত দিবস এক অনন্য মিলনমেলায় রূপ নেয়, যেখানে ভক্তি, ভালোবাসা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির এক অনুপম পরিবেশ সৃষ্টি হয়।