close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শ ত্রু বড় অ প রাধ করেছে, শা স্তি পেতেই হবে , খা মে নি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি। বললেন, শত্রু বড় অপরাধ করেছে— শাস্তি পেতেই হবে। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংকারে আশ্রয়, বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ-উত্তেজনা।..

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বিস্ফোরক বার্তায় ইসরায়েলকে ‘বড় অপরাধী’ আখ্যা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, শত্রু যে ভুল করেছে, তার শাস্তি তাদের পেতেই হবে। এই বার্তা এসেছে এমন সময়, যখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধাবস্থার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক বিমান হামলার পর এই প্রথমবারের মতো সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানালেন খামেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (যেটি আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং তারা বর্তমানে সেই শাস্তি পাচ্ছে।

১৩ জুন ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়। ইরানও পাল্টা জবাবে সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়। এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা বিপজ্জনকভাবে বাড়তে থাকে। ইরান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই হামলার জবাব কেবল সামরিক নয়— কৌশলগতভাবেও দেওয়া হবে।

এই হামলার পর থেকেই ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ খামেনি নিরাপত্তা হুমকির কারণে নিজ বাসভবন ছেড়ে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশ্ব রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতিতে কোনো দেশের সর্বোচ্চ নেতার বাংকারে অবস্থান নজিরবিহীন এবং এতে করে উত্তেজনা আরও বহুগুণে বেড়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, খামেনি আশঙ্কা করছেন— যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল তার প্রাণনাশের পরিকল্পনা করছে। এজন্য তিনি নিরাপত্তা বাহিনী ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোকে সতর্ক করেছেন এবং তাঁর মৃত্যুর আগেই বিকল্প নেতৃত্ব বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ খামেনির হাতে ইরানের প্রায় সব ধরনের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত— নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা, বিচার বিভাগ এবং সামরিক বাহিনীসহ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর ঘটনায় সারা বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ফ্রান্স, পাকিস্তান, গ্রিস এবং ফিলিপিন্সের মতো দেশে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে।

বিশেষত মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আরও তীব্র। বিভিন্ন দেশে আমেরিকান দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন, ক্যান্ডেল মার্চ এবং ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যদি সরাসরি যুদ্ধে রূপ নেয়, তাহলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়— পুরো বিশ্ব এক ভয়াবহ অস্থিরতায় নিমজ্জিত হতে পারে।

খামেনির বাণী অনুযায়ী, ইসরায়েলকে ‘শাস্তি’ দিতে ইরান পিছপা হবে না। ইরানের সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বহুগুণে জোরদার করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ধরনের চাপা উদ্বেগ ও সতর্কতা তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানালেও— বাস্তবতা বলছে, আগুনের স্ফুলিঙ্গ যেকোনো সময় দাবানলে পরিণত হতে পারে।

খামেনির এই স্পষ্ট ও হুমকিমূলক বার্তা শুধু ইসরায়েল নয়, গোটা বিশ্বকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। তার বাংকারে আশ্রয় নেওয়া ও উত্তরসূরি বাছাইয়ের নির্দেশনা— এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এখন সময় বলবে, এই সংঘাত সীমিত থাকবে, নাকি ছড়িয়ে পড়বে এক ভয়াবহ আকারে।

Inga kommentarer hittades


News Card Generator