সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে লাখো জনতার সমাবেশ, উপস্থিত থাকবেন চরমোনাই পীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক জোটের নেতারা। সকাল থেকেই ঢল নেমেছে রাজধানীমুখী নেতাকর্মীদের।..

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ: ঢাকামুখী জনস্রোত শুরু মধ্যরাত থেকেই
আজ শনিবার (২৮ জুন) ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ। আগে থেকেই এই সমাবেশকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও কৌতূহল। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমাবেশ হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়া—এই তিন ইস্যু ঘিরে জনমত তৈরির বিশাল এক প্ল্যাটফর্ম।

সমাবেশের মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে আজ বেলা ২টায়। তবে সকাল ১০টা থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দফায় দফায় মিছিল ও প্রতিনিধি দলগুলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছাতে শুরু করবে। প্রতিটি জেলার প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে শুরুতেই বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। এই অংশে প্রাধান্য পাবে grassroots পর্যায়ের বক্তব্য ও জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন দলের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি ছাড়াও ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শীর্ষস্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন। তবে এবারের সমাবেশের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে—একই মঞ্চে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতি, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থান এবং পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চায়। এতে বোঝা যায়, ইসলামী আন্দোলন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও ব্যাপক সংলাপ ও ঐক্য গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীদের বহনকারী কয়েকশো বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকায় প্রবেশ করেছে। রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলোতে দেখা গেছে দীর্ঘ যানবাহনের সারি। সেইসঙ্গে মধ্যরাত থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

সমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকরাও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের লক্ষ্যে দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চাই, তবে জনগণের রায় রুখে দেওয়ার চেষ্টা হলে আমরা রাজপথে থাকব।”

এছাড়াও আজকের মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, নির্বাচনী কৌশল এবং আগামী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে এটাও আলোচনা চলছে—এই সমাবেশের মাধ্যমে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে নতুন একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির আভাস কি পাওয়া যাচ্ছে? যদি সত্যি হয়, তবে এ সমাবেশ রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

Nessun commento trovato