close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
রাজধানীর মিরপুর সড়কে অবরোধ করে অবস্থান নেওয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা তাঁদের সচিবালয় অভিমুখী পদযাত্রা স্থগিত করেছেন। তাঁদের দাবি, সরকার সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা না করলে তাঁরা শিশুমেলা মোড়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
গত ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় আন্দোলন চলাকালে এক চোখে গুলিবিদ্ধ হন কোরবান শেখ। তিনি বর্তমানে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি জানান, 'আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিশুমেলার এই সড়কেই অবস্থান করব।'
আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁও ও দুপুর থেকে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিবাদে আত্মত্যাগের হুমকি!
বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীদের মধ্যে সোহেলী নামে এক নারী বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি মানার আল্টিমেটাম দেন।
অন্যদিকে, আন্দোলনের এক পর্যায়ে কামরুল নামে এক ব্যক্তি গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যার হুমকি দেন। তাঁর গলায় লেখা পোস্টারে ছিল: ‘হয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, না হয় আত্মহত্যা!’
চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত ব্যক্তিদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। আন্দোলনে আহত কবির হোসেন বলেন, 'আমার চোখে গুলি লেগেছে, অথচ এখন শুধু ড্রপ আর ব্যথার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।' তিনি আরও জানান, হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা দেওয়া হয় না, বাসায় গেলেই অসুস্থতা বেড়ে যায়।
রাস্তার মাঝেই জীবনযাপন
বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ রাস্তায় চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন, কেউ বেঞ্চ পেতে বসেছেন। তাঁদের অভিযোগ, 'সরকারের পক্ষ থেকে সুচিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো চিকিৎসা আমরা পাইনি।'
সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে!
সড়ক অবরোধের কারণে মিরপুরসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অ্যাম্বুলেন্সকেও আটকে দেওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সরকারের নীরব ভূমিকা
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আন্দোলনের সময় তাঁদের পাশে থাকা অনেক নেতা-কর্মী এখন তাঁদের খবর রাখছেন না। তাঁরা বলেন, 'আমাদের আন্দোলন ছিল দেশের জন্য, অথচ এখন আমাদের কোনো খোঁজই নেওয়া হচ্ছে না।' তাঁরা দ্রুত সুচিকিৎসার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করেছেন।
পরবর্তী করণীয়
সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। এখন দেখার বিষয়, সরকার তাঁদের দাবি মেনে নেয় কি না!
Ingen kommentarer fundet