close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সবজির বাজারে স্বস্তি, তেল-চালে অস্থিরতা: ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা বহাল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শীতকালে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এতে ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও তেল ও চালের দাম বেড়ে সেই স্বস্তি ম্লান
শীতকালে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এতে ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও তেল ও চালের দাম বেড়ে সেই স্বস্তি ম্লান করছে। পাশাপাশি মাছের বাজারেও চড়া দামে ভোগান্তি বাড়ছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, আগানগর এবং নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে চাল, তেল ও মসলার বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। সবজির বাজারে স্বস্তি রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এক সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, “সপ্তাহ ব্যবধানে শাক-সবজির কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।” বর্তমান বাজার দর: বেগুন: ৬০-৭০ টাকা ঢেড়শ: ৫০ টাকা বরবটি: ৭০ টাকা মুলা: ২৫-৩০ টাকা টমেটো: ১২০-১৪০ টাকা পেঁপে: ৩৫-৪০ টাকা শিম: ৪০-৫০ টাকা শসা: ৫০-৬০ টাকা সবজি ছাড়াও ধনেপাতা, লাউ, বাঁধাকপি, এবং ফুলকপির দাম কিছুটা কমেছে। কাঁচা মরিচের দামও খুচরা পর্যায়ে ৭০-৯০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করলেও শীতকালের তুলনায় এখনও কিছুটা বেশি। হামিদ নামে এক ক্রেতা বলেন, “বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ ভালো হলেও দাম আরও কমা উচিত।” তেল ও চালে অস্বস্তি সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও তেল ও চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তি বেড়েছে। মিনিকেট চাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়। নতুন আটাইশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৭ টাকায়, আর নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায়। সরকার খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ মূল্য ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকার ওপরে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় খোলা তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। হাসান নামে এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, “সরবরাহ কমের অজুহাতে তেলের দাম বাড়ছে। বাজারে মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করছে।” মাছের বাজারে চড়া দাম মাছের বাজারেও তেমন স্বস্তি নেই। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ মাছ। রুই মাছ: ৩৮০-৪৫০ টাকা কাতল মাছ: ৪০০-৪৮০ টাকা চাষের পাঙাশ: ১৮০-২৩০ টাকা দেশি কৈ মাছ: ১৩০০-১৭০০ টাকা শোল মাছ: ৯০০-১০০০ টাকা ক্রেতারা জানান, শাক-সবজি কিছুটা সাশ্রয়ী হলেও মাছের দাম কমেনি। ফলে বাজারের সামগ্রিক খরচ বেড়েই চলেছে। মসলার বাজারেও দুশ্চিন্তা আমদানি কমার কারণে মসলার বাজারেও দামের ঊর্ধ্বগতি। এলাচ: ৩৮০০ টাকা প্রতি কেজি দারুচিনি: ৫০০-৫৫০ টাকা জিরা: ৬৫০-৭০০ টাকা লবঙ্গ: ১৬০০-১৬৫০ টাকা ক্রেতারা বলছেন, বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা মসলা থেকে শুরু করে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। বাজার মনিটরিংয়ের দাবি বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবি তুলেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, “বাজারে মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। নিয়মিত অভিযান চালালে বাজারের অস্থিরতা কমবে।” বিক্রেতারাও বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে পুরো বাজারের ওপর চাপ বাড়ছে। নিয়মিত তদারকি থাকলে বাজার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। সারসংক্ষেপ: সবজির দাম কমতে শুরু করায় ভোক্তাদের স্বস্তি বাড়লেও চাল, তেল ও মাছের চড়া দাম সেই স্বস্তি ম্লান করে দিচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকারের কার্যকর মনিটরিং জরুরি।
לא נמצאו הערות