close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার পর যখন উপমহাদেশে উত্তেজনার পারদ চরমে, তখনই চীন জানিয়ে দিল—সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে তারা। তবে যুদ্ধ নয়, শান্তির পথে হাঁটার আহ্বানও জানিয়েছে বেইজিং।..

চীন জানিয়ে দিল—সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে তারা। যুদ্ধ নয়, বরং শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই উপমহাদেশে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করে বেইজিং। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে, তখন এমন বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

চীনের লাহোরস্থ কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “চীন অতীতেও পাকিস্তানের পাশে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা, কৌশলগত সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।” পাকিস্তানের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় পাঞ্জাব শাখার নেতাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় পিপিপি কেন্দ্রীয় পাঞ্জাবের অর্থ সম্পাদক আহমাদ জাওয়াদ রানার বাসভবনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

ঝাও শিরেন আরও বলেন, “চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক বন্ধুত্ব নয়; এটি এক কৌশলগত জোট, যা সময়ের পরীক্ষায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে। চীনের প্রতিটি নাগরিক পাকিস্তানকে ভালোবাসে, আর পাকিস্তানিরাও চীনকে দেখায় সম্মান ও ভালোবাসা।”

তিনি যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, “যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। বরং শান্তিপূর্ণ সংলাপ এবং কূটনৈতিক উদ্যোগই পারে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে। ভারত ও পাকিস্তানের উচিত আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান খোঁজা।”

দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে ঝাও বলেন, “আমরা চাই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC)-এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হোক। এই প্রকল্প শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লাভের বিষয় নয়, এটি আমাদের বন্ধুত্বের প্রতীক।”

আলোচনার এক পর্যায়ে দুই পক্ষই নিশ্চিত করেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অঙ্গনে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। তারা আরও বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে চলমান অস্থিরতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতিতে চীন ও পাকিস্তান নিজেদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে এবং অন্য দেশগুলোকেও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানাবে।

এ সময় চীনা কনসাল জেনারেল আরও বলেন, “পাকিস্তান শুধু একটি প্রতিবেশী নয়, বরং চীনের একটি পরীক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে।”

উপসংহারে বলা যায়, এই বৈঠকের বার্তা খুবই স্পষ্ট—চীন পাকিস্তানকে শুধুমাত্র বন্ধুর চোখে দেখে না, বরং একটি কৌশলগত সঙ্গী হিসেবে গুরুত্ব দেয়। বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চীনের এই সমর্থন পাকিস্তানের জন্য বড় কূটনৈতিক শক্তি, একইসাথে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator