সাত কলেজের সংকট নিরসনে জরুরি সভা: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাত কলেজের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ সভার আয়োজন করেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প
সাত কলেজের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ সভার আয়োজন করেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জরুরি সভার গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি জানা গেছে, এ সভায় উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস. এম. এ. ফয়েজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। বিশ্লেষকদের মতে, এই সভা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান অসন্তোষ নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি এর আগে, আজ বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মঈনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “সরকার আমাদের ছয় দফা দাবির বিষয়ে ইতিবাচক। যেসব দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা সম্ভব, সেগুলো ইতোমধ্যেই মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা কর্মসূচি দিয়েছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসসহ অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ করব এবং নিউমার্কেট থানা ঘেরাও করব। তবে এই কর্মসূচি আমরা প্রত্যাহার করেছি।” শিক্ষার্থীদের দফা দাবির গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল সাত কলেজের পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট সময়সূচি প্রকাশ, ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব কমানো, শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়ন এবং প্রশাসনিক জটিলতা দূর করা। সংকট নিরসনে সরকারের অঙ্গীকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি যৌথভাবে কাজ করছে। এই জরুরি সভার পরবর্তী সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে সাত কলেজের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আশা করছেন, এই সভা সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
לא נמצאו הערות