close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

রুহুল কবির রিজভী: ‘বিক্ষোভ-আন্দোলন যা-ই হোক, গুলি করে হত্যা বন্ধ করতে হবে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মুন্সীগঞ্জে বিএনপির নেতা রিজভী দাবি করলেন, পুলিশের শটগান দিয়ে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা যেন আর না ঘটে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ব
মুন্সীগঞ্জে বিএনপির নেতা রিজভী দাবি করলেন, পুলিশের শটগান দিয়ে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা যেন আর না ঘটে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিক্ষোভ-আন্দোলন যা-ই হোক, তা কখনোই গুলি করে হত্যা হতে পারে না। দেশের মানুষ আর কখনো পুলিশ বা শাসক দলের হাতে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হবেন না বলে তিনি দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন। সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জে বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা এবং তার সরকার পুলিশ দিয়ে, শটগান দিয়ে গুলি করে যেভাবে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে, আমরা চাই না দেশে এমন পুনরাবৃত্তি ঘটুক।" তার দাবি, এই ধরনের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা এ সময় রিজভী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বর্বর শাসক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি জনগণের সাড়া না পেয়ে এখন পাশের দেশ থেকে বাংলাদেশের ভেতর নানা উসকানি ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার এই ধরনের পদক্ষেপ জনগণের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি, এবং সে কারণে দেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রিজভীর মন্তব্য রিজভী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে দেশে আইনের শাসন নেই, এবং জনস্বার্থে নির্বাচনের সুষ্ঠু রোডম্যাপ জরুরি। তিনি নির্বাচন আটকে রাখার কোন কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, সরকার সমালোচনা সহ্য না করতে পেরে রাজনৈতিক দল এবং গণমাধ্যমের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার রিজভী সরকারের নানা নীতির বিরুদ্ধে রিজভী আরো বলেন, "যদি চালের দাম বাড়ে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, অথবা নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়, আমরা কি তখন কথা বলব না?" তিনি সরকারের সমালোচনার অধিকার জনগণের বলে উল্লেখ করে, রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা মেনে চলা উচিত। এদিকে, বিএনপি নেতারা দলের আন্দোলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে শেখ হাসিনার শাসনকালের শেষ চিহ্ন মুছে ফেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। রিজভীর এই মন্তব্যের মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা প্রদান করা হলো যে, তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান চাচ্ছেন, এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় একত্রিত হবেন। এদিকে, বিএনপির এই নেতার বক্তৃতা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক জাগরণ সৃষ্টি করবে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
לא נמצאו הערות