খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পুলিশের তদন্ত ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঘটনাটি কোনো প্রকাশ্য স্থানে নয়, বরং একটি ভাড়া বাসার ভেতরে ঘটেছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, মোতালেব শিকদার তার সহযোগীদের মাধ্যমেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, সোনাডাঙ্গা এলাকার আল আকসা মসজিদ গলির একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহভাজন কার্যক্রম চলে আসছিল। তন্বী নামক এক নারী মাসখানেক আগে বাসাটি ভাড়া নেন, যেখানে নিয়মিত বহিরাগতদের আনাগোনা ছিল। ঘটনার দিন অর্থাৎ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই বাসার ভেতরেই মোতালেব শিকদার তার সহযোগীদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোতালেব শিকদার কান চেপে ধরে রক্তাক্ত অবস্থায় গলিপথ দিয়ে বের হয়ে আসছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাসাটি থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম, গুলির খোসা এবং বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, এটি কোনো পরিকল্পিত রাজনৈতিক হামলা নয়, বরং মাদকের আড্ডায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের একটি চরম বহিঃপ্রকাশ। মোতালেব শিকদার বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং চিকিৎসকদের মতে তিনি আশঙ্কামুক্ত। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে আগে দাবি করা হয়েছিল যে, তাকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে হেলমেট পরিহিতরা গুলি করেছে, যা পুলিশের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই ঘটনা খুলনার রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।



















