close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

রাশিয়ায় যুদ্ধে আটকে গেলেন আট বাংলাদেশি!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পরিবারের উৎকণ্ঠা, কীভাবে ফিরবেন তাঁরা? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে আটজন বাংলাদেশি নাগরিক রাশিয়ায় আটকে পড়েছেন। তাদের জীবন নিয়ে এখন চরম উদ্বেগে পরিবার
পরিবারের উৎকণ্ঠা, কীভাবে ফিরবেন তাঁরা? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে আটজন বাংলাদেশি নাগরিক রাশিয়ায় আটকে পড়েছেন। তাদের জীবন নিয়ে এখন চরম উদ্বেগে পরিবার ও স্বজনরা। জানা গেছে, এই বাংলাদেশিদের কেউ রাশিয়ায় পড়াশোনার জন্য গিয়েছিলেন, কেউ কাজের খোঁজে। কিন্তু হঠাৎ যুদ্ধ পরিস্থিতি তাদের জীবনে অচিন্তনীয় সংকট এনে দিয়েছে। কীভাবে আটকে গেলেন তাঁরা? উৎস থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে থাকা এই বাংলাদেশিরা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিবহন ও সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে দেশে ফেরার সুযোগও কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবারগুলোর কান্না থামছে না এদিকে, আট বাংলাদেশির পরিবারগুলো গভীর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। তাদের দাবি, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক। এক ব্যক্তির মা বলেন, “আমার ছেলে রাশিয়ায় পড়তে গিয়েছিল, এখন সে কী অবস্থায় আছে, জানি না। প্রতিদিন ফোনে কাঁদছে। সরকার আমাদের দিকে তাকাক।” বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রয়োজন বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, "আমরা রাশিয়া এবং সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে প্রক্রিয়াটি জটিল হয়ে পড়েছে।" বিদেশ মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ায় থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিদেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাশিয়ায় অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফিরে আসবে কি প্রিয়জন? যুদ্ধের এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও স্বজনরা আশা ছাড়ছেন না। সবাই তাদের প্রিয়জনদের নিরাপদে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তবে যুদ্ধক্ষেত্রের এই অবস্থা কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। এটি শুধু আটজন বাংলাদেশির নয়, বরং মানবতার জন্য একটি কঠিন সংকেত। যুদ্ধের ভয়াবহতায় আটকে থাকা মানুষের জীবন বাঁচাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
Nenhum comentário encontrado