close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেও উত্তপ্ত রাজপথ ঠান্ডা হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘অসম্পূর্ণ’ দাবি করে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনকারীদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।..

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও, তাতে সন্তুষ্ট নন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, শুধুমাত্র ঘোষণায় কিছু হবে না—রাজপথে থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

শনিবার (১০ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আমাদের মতামত আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। সে পর্যন্ত অবস্থান ত্যাগ করবেন না।”

এই পোস্টের মাধ্যমে মূলত আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা হাজারো নেতা-কর্মীদের আরও সক্রিয় থাকার বার্তা দেন তিনি। এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও, মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। আন্দোলনকারীদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা কাগজে কলমে থাকলেও মাঠপর্যায়ে এর বাস্তবায়ন এখনো যথাযথ হয়নি।

আন্দোলনের সূচনা এবং বিস্তার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে চলমান আন্দোলন শুরু হয় ৮ মে (বুধবার) রাত ১০টায়। এনসিপির প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা হয়।

প্রথমে এনসিপির কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে একে একে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন শিবির, হেফাজতে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ আরও কিছু রাজনৈতিক সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে। ফলে এই আন্দোলন দ্রুতই বৃহৎ একটি জোটের রূপ নেয়।

হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে এনসিপির নেতাকর্মীরা গত তিনদিন ধরে রাজপথে সক্রিয় আছেন। তিনি নিজেই আন্দোলনের মাঠপর্যায়ের সমন্বয় করছেন বলে জানা গেছে।

সরকারি সিদ্ধান্তের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা
অন্তর্বর্তী সরকার যখন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়, তখন অনেকেই ধারণা করেছিলেন—এতে রাজপথ কিছুটা শান্ত হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সিদ্ধান্তকে 'প্রাথমিক পদক্ষেপ' হিসেবে দেখছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মতে, শুধু নিষিদ্ধ ঘোষণাই যথেষ্ট নয়—দলের নেতা-কর্মীদের আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের মুখোমুখি না করলে দেশে রাজনৈতিক ভারসাম্য ফিরে আসবে না।

হাসনাত আবদুল্লাহর ভাষায়, “আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে জনতার শক্তিকে একত্রিত করেছি। এখন এই শক্তি ফাঁকা প্রতিশ্রুতিতে ভেঙে পড়বে না। আমরা রাজপথ ছাড়ব না, যতক্ষণ না দাবিগুলো বাস্তবায়ন হয়।”

একটি বৃহত্তর গণআন্দোলনের সূচনা?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক অবস্থান কর্মসূচি এবং একাধিক দলের যুক্ত হওয়া একটি বৃহত্তর গণআন্দোলনের ইঙ্গিত দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা রাজনৈতিক ক্ষোভ এই আন্দোলনের মাধ্যমে বিস্ফোরিত হচ্ছে।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে প্রশাসনিক মহলে সতর্কতা জারি রয়েছে।

উপসংহার
বর্তমানে দেশের রাজনীতির কেন্দ্রে অবস্থান করছে এনসিপির নেতৃত্বাধীন এই আন্দোলন। সরকারের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও, রাজপথ ছাড়ছেন না নেতাকর্মীরা। হাসনাত আবদুল্লাহর স্পষ্ট বার্তা—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথই এখন তাদের ঘর।

এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সর্বস্তরে।

Nessun commento trovato


News Card Generator