close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

রাজনীতির মঞ্চে নতুন অধ্যায়: জাইমা রহমানের আত্মপ্রকাশ?

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অংশগ্রহণ কি তার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের ইঙ্গিত বহন করছে? জাইমার অংশগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক গুঞ্জন প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নেতৃত্বে আয়োজিত হয় ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’। এবার বিএনপির তিন শীর্ষ নেতা—তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে তারেক রহমান ব্যক্তিগত কারণে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছেন না। তার পরিবর্তে যাচ্ছেন তার কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এ সিদ্ধান্তের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা এক সম্ভাবনা জাইমা রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনী। তার মা, ডা. জোবাইদা রহমান, একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক। ছোটবেলা থেকেই লন্ডনে শিক্ষা জীবন কাটানো জাইমা একজন সফল আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। তবে এবার রাজনীতিতে তার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার গুঞ্জন সত্যি হতে যাচ্ছে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতামত রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন খান মোহন মনে করেন, জাইমা রহমান যদি আন্তর্জাতিক পরিসরে বিএনপিকে উপস্থাপন করেন, তবে সেটি দলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হতে পারে। তিনি বলেন, “গান্ধী পরিবার থেকে যেমন ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছেন, তেমনি বাংলাদেশে জিয়া পরিবার থেকে রাজনীতিতে জাইমার অংশগ্রহণ অনেকটাই স্বাভাবিক।” অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, “জাইমা রহমান ছোটবেলা থেকেই লন্ডনে বসবাস করছেন। তিনি রাজনীতিতে আসতে চাইলে, সেটি দলীয়ভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগদানের ফলে তার আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তার ভূমিকার সম্ভাবনাও তৈরি হবে।” ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি এই অনুষ্ঠানে জাইমার অংশগ্রহণ নিছক কূটনৈতিক সৌজন্য নাকি তার রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক অভিষেক, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে বিএনপির সমর্থক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে জাইমার সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করা কি তার জন্য রাজনীতির মঞ্চে প্রথম ধাপ? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
कोई टिप्पणी नहीं मिली