close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেওয়া হবে, পরিবেশ উপদেষ্টা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বায়ুদূষণ রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেওয়া হবে, নতুন ২৫০টি পরিবেশবান্ধব গাড়ি আসছে, সাথে চলছে বহুমাত্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প।..

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সোমবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীনের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ এবং দূষণ কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ও পুরনো গাড়ি পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। এ সম্পর্কিত একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে, যা সমগ্র দেশের বায়ুদূষণ পরিস্থিতির উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরো জানান, শীতকালের আগেই ভাঙাচোরা রাস্তার মেরামত কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, পুরনো গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নিয়ে নতুন ২৫০টি পরিবেশবান্ধব গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে রান্নার জন্য ক্লিন জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য এলপিজি ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বায়ুদূষণ কমাতে ট্যাক্স নীতির সমন্বয় করা হয়েছে, যার ফলে এয়ার পিউরিফায়ারের ট্যাক্স কমিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য এটি আরও সাশ্রয়ী করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় 'নো ব্রিক ফিল্ড জোন' ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে ইটভাটার ধোঁয়া ঢাকার দিকে প্রবাহিত না হয়। বালু ও সিমেন্টের প্যাকেট খোলা অবস্থায় আনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে; এগুলো কভার্ড ভ্যানে আনার বিধান রাখা হয়েছে।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন, জিরো সয়েল, নো ব্রিক ফিল্ডসহ বেশ কয়েকটি পরিবেশ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা দেশের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তবে এই প্রকল্পগুলো একদিনে সম্পন্ন হবে না, ধাপে ধাপে এগিয়ে নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নগরায়ণ বৃদ্ধির কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়ার প্রেক্ষিতে এ ধরনের উদ্যোগ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে জনগণকেও সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন উপদেষ্টা।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের এসব বক্তব্য দেশের পরিবেশ রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অবস্থানের প্রমাণ স্বরূপ। এই উদ্যোগগুলো সফল হলে বাংলাদেশের পরিবেশগত মান উন্নয়নে বিশেষ সাফল্য আসবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

Aucun commentaire trouvé