পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন এবং সাম্প্রতিক সময়ের ‘মব’ বা উশৃঙ্খল জনতার দুনিয়া ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন ভিডিওর বক্তা। বিশেষ করে পুলিশের সাবেক আইজিপি ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীর পদত্যাগ বা অব্যাহতির বিষয়টি নিয়ে তিনি গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
স্বেচ্ছায় নাকি বাধ্য হয়ে? বক্তা প্রশ্ন তুলেছেন, খোদা বখশ চৌধুরী কি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, নাকি তাকে বাধ্য করা হয়েছে? তিনি তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সূত্র ধরে বলেন, সরকারের ভেতরের একটি অংশই সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগ ও মব তৈরির সঙ্গে জড়িত। বক্তার দাবি, খোদা বখশ এতদিন সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য শেষ করে এখন সরে দাঁড়িয়েছেন।
‘তৌহিদী জনতা’র আড়ালে রাজনৈতিক এজেন্ডা ভিডিওতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘তৌহিদী জনতা’র সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মূলত জামায়াত ও শিবির তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। বক্তা বলেন, ভাঙচুর ও সহিংসতার নির্দেশ দিচ্ছে শিবিরের নেতারা, অথচ গ্রেপ্তার হচ্ছেন সাধারণ আলেমরা (যেমন বিক্রমপুরী)। তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা শিবির নেতাদের কারণেই কি মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে?
পিনাকী ভট্টাচার্য ও ‘বাংলা এডিশন’ বিতর্ক পিনাকী ভট্টাচার্যের কঠোর সমালোচনা করে বক্তা বলেন, কওমি মাদ্রাসার আলেমরা তাকে এতটাই মাথায় তুলেছেন যেন তিনি ‘খেলাফতের খলিফা’। অথচ পিনাকীর ‘বাংলা এডিশন’ বন্ধ হওয়ার পেছনে দুটি গুরুতর কারণ উল্লেখ করেন তিনি: ১. মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা: পিনাকী তার এক সিরিজ প্রোগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। ২. চাঁদাবাজি: উত্তরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ‘বাংলা এডিশন’র নাম করে ২৭ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
জাতীয়তাবাদ ও ভারত বিরোধিতা বক্তা বিএনপি ও জামায়াতের ভারত-বিরোধিতার স্বরূপ নিয়েও বিশ্লেষণ করেছেন। তার মতে:
-
সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী দল, কারণ বিদেশে তাদের কোনো সাংগঠনিক শাখা নেই। ভারত বা অন্য কোনো দেশের কাছে মাথা নত না করার কারণেই বিএনপি গত ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল।
-
জামায়াতে ইসলামী হিন্দ (ভারত) ও জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান এরা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। বক্তার দাবি, ভারতের জামায়াতের কারণে বাংলাদেশের জামায়াত কখনোই ভারতবিরোধী শক্ত অবস্থান নিতে পারে না। উল্টো তারা এখন ‘বিএনপি ঠেকাও’ আন্দোলনের নামে ভারতের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছে।
হাদি হত্যা ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির ভাইয়ের বক্তব্যের বরাত দিয়ে বক্তা বলেন, যারা হাদিকে ঘিরে ছিল, তারাই তাকে হত্যা করেছে এবং এখন তারা হাদি হত্যার অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
উপসংহার বক্তা মনে করেন, সাধারণ মানুষের চোখের পর্দা সরতে শুরু করেছে। মববাজ, চাঁদাবাজ এবং বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে এবং তাদের প্রভাবের বলয় বা ‘দুনিয়া’ দ্রুত সংকুচিত হয়ে আসছে।



















