পারমাণবিক প্রযুক্তিতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তিনটি নতুন উদ্ভাবন ও সাফল্যের খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে ইরান সরকার।
পারমাণবিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক অভাবনীয় অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। তেহরানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির পরমাণু শক্তি সংস্থা তিনটি নতুন ও যুগান্তকারী সাফল্যের কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে। দীর্ঘ গবেষণা ও স্থানীয় বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে এই প্রযুক্তিগুলোকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সাফল্য কেবল বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রাই নয়, বরং বৈশ্বিক চাপের মুখে তেহরানের প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার একটি বড় পদক্ষেপ।
ইরানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ উৎপাদন এবং শিল্প খাতে ব্যবহারের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন। এর ফলে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক নানা বিধিনিষেধ ও প্রতিবন্ধকতার মাঝেই তারা নিজস্ব মেধা ব্যবহার করে এই উচ্চতর সক্ষমতা অর্জন করেছেন, যা দেশটির পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করে।
বিশ্লেষকদের মতে, পরমাণু বিজ্ঞানে এই নবতর উদ্ভাবনগুলো ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রযুক্তির মানচিত্রে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এর ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য ও খনি উত্তোলন খাতে আমূল পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয় যে, এই প্রযুক্তির সুফল খুব দ্রুতই সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় পরমাণু গবেষণার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে বদ্ধপরিকর। এই বৈজ্ঞানিক উন্মোচনটি এমন এক সময়ে এলো যখন আন্তর্জাতিক মহলে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলমান রয়েছে।



















