স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ডোমেল ও মুজাফফরাবাদ দিয়ে প্রায় ২২ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর আশপাশের এলাকাগুলিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং নদীর সীমানা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্যার এই সংকট এমন এক সময়ে দেখা দিলো, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। সম্প্রতি কাশ্মীরের পাহেলগামে গোলাগুলির ঘটনায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। তদন্ত শেষ না হতেই ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়।
পাকিস্তান ভারতের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, "পানি পাকিস্তানের প্রাণরসায়ন। পানি অবরুদ্ধ করা বা সরানো যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।" এনএসসি আরও জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যখন এমন সংবেদনশীল ইস্যু—পানি—সরাসরি দুই দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সাথে জড়িত।



















