পাকিস্তানি পাইলটকে আ ট কের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ই সলা মাবাদ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন উত্তেজনা! যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পর রাজস্থানে ‘পাকিস্তানি পাইলট’ আটকের দাবি ভারতীয় সেনার, পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিল পাকিস্তান—‘প্রমাণ দাও..

রাজস্থানে পাকিস্তানি পাইলট আটক: দুই দেশের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আবারও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের দাবি, তারা রাজস্থানের জেসেলমার এলাকায় পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং সেই বিমানের পাইলটকে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভারতের একাধিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়ার আগেই পাইলট বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে অবতরণের পর তিনি ভারতের সীমান্তবর্তী জেসেলমার এলাকায় এসে পড়েন। ওই সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) তাকে আটক করে।

যদিও এই ঘটনার বিস্তারিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো ভারত সরকার থেকে প্রকাশিত হয়নি, তবে একাধিক সূত্র দাবি করছে, জেসেলমারের সেনা ঘাঁটিতে আটক ওই ব্যক্তি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একজন সক্রিয় পাইলট এবং তার কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

এছাড়া, নয়াদিল্লি দাবি করেছে, তারা শুধু একটি নয়, বরং দুটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে একটি রাজস্থানের সীমান্ত অঞ্চলে এবং আরেকটি পাকিস্তানের ভেতরে গিয়ে ধ্বংস হয় বলে দাবি করছে ভারতীয় সূত্রগুলো।

 পাকিস্তানের জোরালো প্রত্যাখ্যান

অন্যদিকে, ভারতীয় এই দাবিকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, “ভারতের এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি একে ১০০ শতাংশ প্রত্যাখ্যান করছি।”

তিনি আরো বলেন, “যদি সত্যিই কোনো যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয় এবং আমাদের পাইলট আটক হয়ে থাকে, তাহলে ভারতকে এখনই সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। কেবল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা চালানো যথেষ্ট নয়।”

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ভারতের এই ধরনের ‘অতিরঞ্জিত’ দাবি সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।

 রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনার পেছনে দুই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও ভূমিকা রাখছে। ভারতের নির্বাচনী রাজনীতির সময় এই ধরনের ‘জয়গাথা’র গল্প প্রচার করা নতুন কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হারুন উর রশীদ।

তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মহলের একাংশ বলছে, এটি কেবল রাজনীতির বিষয় নয়, বাস্তবেই পাকিস্তানি সেনা কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে সীমান্তে। পুলওয়ামা ও বালাকোট ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ভারত সবসময় প্রস্তুত।

 দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে উদ্যোগ দরকার

সীমান্তে এমন ঘটনার পর কূটনৈতিক পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়া জরুরি। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলও এ ধরনের উত্তেজনা পর্যবেক্ষণ করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যিই কোনো পাইলট আটক হয়ে থাকে, তবে তা একটি গুরুতর কূটনৈতিক ইস্যুতে রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, দুই দেশের পক্ষ থেকেই দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন।


ভারতের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণ প্রকাশ না করায় প্রশ্ন উঠছে ঘটনার সত্যতা নিয়ে। অন্যদিকে, পাকিস্তানও স্পষ্টভাবে কোনো তদন্তের কথা বলছে না। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের হস্তক্ষেপ ছাড়া প্রকৃত সত্য উদঘাটন সম্ভব নাও হতে পারে।

Комментариев нет