close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে আইনি নোটিশ, পাল্টা বক্তব্যে আলোড়ন তুললেন লায়লা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
টিকটকে আপলোড করা ভিডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কনটেন্টকে কেন্দ্র করে আইনি নোটিশের মুখে পড়েছেন লায়লা ও মামুন। তবে অভিযোগের জবাবে মুখ খুলে সমাজে সচেতনতা তৈরির দাবিও জানালেন লায়লা। কী ছিল তাঁর..

টিকটকে ভিডিও প্রকাশের জেরে এবার আইনের মুখে পড়লেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর লায়লা আখতার ও তাঁর সহকর্মী প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ও অনৈতিক কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ এনে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি দাবি করেছেন, দেশের সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, লায়লা ও মামুনের তৈরি করা কনটেন্টগুলো শুধু সামাজিক মূল্যবোধকে আঘাত করছে না, বরং ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত হানছে।

নোটিশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—টিকটক, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ভিডিওগুলো অশ্লীল, অনৈতিক এবং সমাজের নৈতিক কাঠামোকে ভেঙে দেওয়ার মতো বিপজ্জনক প্রভাব ফেলছে। এই ধরনের কনটেন্ট তরুণ সমাজকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইনজীবী।

এই প্রসঙ্গে টিকটকার লায়লা আখতার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়েছেন। তিনি আইনি নোটিশের জন্য উল্টো ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “যারা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন বা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তারা একদিক থেকে ভালো কাজ করছেন। কারণ এর ফলে অন্তত কিছুটা সচেতনতা তৈরি হচ্ছে।”

লায়লার দাবি, “আপনারা যদি আমার ফেসবুক পেজ, টিকটক আইডি বা ইউটিউব চ্যানেল ঘেঁটে দেখেন, তাহলে পরিষ্কার দেখতে পাবেন—আমি কখনোই অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করিনি, চিৎকার করিনি বা রূঢ় আচরণ করিনি। বরং আমরা অনেক সময় ভিন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি করে সামাজিক বার্তা দিতে চেয়েছি।”

তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন যে, অনেক সময় কিছু তৃতীয় পক্ষ তাঁদের ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করে বিকৃত ক্যাপশনসহ অশালীনভাবে উপস্থাপন করছে, যেটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। “এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি,”—বলেন লায়লা।

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ এতে করে সমাজে একটি বার্তা যায়—আপনি যা-ই করেন, সেটার একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। ভিডিও বানানোর সময় যদি কিছু মানুষ ভুল ব্যাখ্যা করে সেটাকে অন্যভাবে ব্যবহার করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”

এই পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। অন্যদিকে অনেকে আবার মনে করছেন, এটি স্রেফ ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সৃষ্টিশীলতার ওপর হস্তক্ষেপ।

তবে এটি স্পষ্ট, টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট তৈরি করা এখন আর শুধুই বিনোদন নয়—এটি সামাজিক, ধর্মীয় এবং আইনগত ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। আর এই বাস্তবতায় কনটেন্ট নির্মাতাদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন বিশেষজ্ঞরাও।

এখন দেখার বিষয়, আইনি নোটিশের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় এবং লায়লা-মামুন জুটি তাদের কনটেন্ট নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনেন কিনা।

Nema komentara