আলোচিত অর্থপাচার মামলায় অবশেষে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের আপিল বেঞ্চ তাদের খালাসের রায় ঘোষণা করেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
এই মামলায় এর আগে নিম্ন আদালত তাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্ট আসামিদের খালাস দেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানির পর আদালত প্রমাণের অভাবে তাদের খালাস দেন।
এই রায়ের ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এ রায়কে ন্যায়বিচার হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সরকারপক্ষ জানিয়েছে, তারা উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে।
প্রতিক্রিয়া:
রায়ের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই রায় প্রমাণ করে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল।’
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় জানিয়েছে, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর তারা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
উপসংহার:
বহুল আলোচিত এই মামলার রায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ রায়ের ফলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা অন্যতম একটি মামলা থেকে তিনি মুক্তি পেলেন। এখন দেখার বিষয়, সরকারপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি না।