close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে ৩ দিনের রি মা ন্ডে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের দূর-সম্পর্কের ভাগ্নে আলী হায়দার রতনকে ৩ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। তার বিরুদ্ধে শুধু হত্যা নয়, ব্যাংক লুট,..

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দূর-সম্পর্কের ভাগ্নে আলী হায়দার রতন (৫০) অবশেষে আইনের জালে ধরা পড়েছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরে জুলাইয়ে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা দুইটি মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনুর রহমান মিলনের আদালত এই আদেশ দেন। শ্রীপুর থানার করা দুইটি হত্যা মামলায় পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে, তবে আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম আক্তার জানান, রাজধানীর রমনা থানার পুলিশ সোমবার রাতে আলী হায়দার রতনকে শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করে। জানা যায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে জনতা তাকে ধরে রমনা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

আলী হায়দার রতনের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বরবাড়িচর গ্রামে। তিনি প্রয়াত নূরুল ইসলামের পুত্র এবং সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয়। তবে তার শ্বশুরবাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে। তার শ্বশুর মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

তবে এখানেই থেমে নেই বিতর্ক। রতনের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই ব্যাংক লুট, কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ঋণ গ্রহণ, খেলাপি তথ্য গোপন করে জালিয়াতি, ভূমি দখল এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব ও আত্মীয়তার সুবাদে তিনি এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

গত বছরের ২৮ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়। এসব মামলায় আলী হায়দার রতন যথাক্রমে ৯ ও ৭ নম্বর আসামি হিসেবে নাম আসে।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, 'প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আলী হায়দার রতন এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন। তাই তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন ছিল।'

এদিকে এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। শীর্ষ নেতার আত্মীয়র এ ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ দলীয় ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে।

জনগণ ও ভুক্তভোগীরা এখন চায়, অপরাধী যারই হোক না কেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক এবং সব দুর্নীতিবাজের বিচার নিশ্চিত হোক।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator