দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মোড় সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি এবং গণঅধিকার পরিষদের মধ্যকার কৌশলগত সমঝোতার মাধ্যমে। দীর্ঘদিনের যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবার নির্বাচনী মাঠেও একে অপরকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল দুটি। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, বিএনপি এবং গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে অত্যন্ত কার্যকর একটি সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে। এই সমঝোতার আওতায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে ভবিষ্যৎ সরকারে মন্ত্রিত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি।
এ ছাড়াও সমঝোতার অংশ হিসেবে বিএনপি দুটি সংসদীয় আসনে গণঅধিকার পরিষদকে পূর্ণ সমর্থন দেবে। আসন দুটি হলো নুরুল হক নুরের নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী-০৩ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের আসন ঝিনাইদহ-০৪। এই দুই আসনে বিএনপি কোনো দলীয় প্রার্থী দেবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সক্রিয় ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সমঝোতা বিরোধী শিবিরের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে গণঅধিকার পরিষদ স্পষ্ট জানিয়েছে যে, তারা তাদের নিজস্ব প্রতীক 'ট্রাক' নিয়েই ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে। এটিকে সরাসরি নির্বাচনী জোট না বলে একটি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা। উচ্চকক্ষে একটি আসন এবং সংরক্ষিত নারী আসনেও গণঅধিকার পরিষদকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি এই সমঝোতায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।



















