close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ৮০ বছরের জেবল হক মারা গেছেন। করোনা শনাক্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়। জেলার করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, টেস্ট কিটের সংকট চলছে।..

১ জুলাই – নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের গনু মিয়ার ছেলে, ৮০ বছর বয়সী জেবল হক করোনায় আক্রান্ত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জেবল হক হাসপাতালে ভর্তি হন সকাল ১০টায়, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে। দ্রুত তার করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং বিকেল ৩টার দিকে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। করোনা শনাক্তের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মারা যান, যা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, “মৃতু্যর সময় ছিল সন্ধ্যা ৬টা। বৃদ্ধকে হাসপাতালের আলাদা করোনা ইউনিটে রাখা হয়েছিল। হাসপাতালে আসার সময় তার শারীরিক অবস্থাও বেশ খারাপ ছিল।”

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি জানান, “বর্তমানে নোয়াখালী জেলায় মোট ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যুতে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “উপজেলা পর্যায়ে টেস্ট কিটের সংকট থাকায় পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হলেও টেস্ট কিটের অভাবে পরীক্ষা কার্যক্রম সীমিত। ফলে সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র জানা যাচ্ছে না। এই সংকট দ্রুত কাটিয়ে উঠতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের দাবি স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশি ঝুঁকি রয়েছে বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য। তাই বিশেষ করে বৃদ্ধদের সুরক্ষা ও যত্ন নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জ্বলন্ত শ্বাস, জ্বর, কাশি বা অন্য কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

এদিকে, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। নতুন শয্যা ও চিকিৎসক সংযোজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে রোগীদের সঠিক ও সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া যায়। প্রশাসন সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

নোয়াখালীর এই করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করেছে। তারা আশা করছেন দ্রুত টেস্ট কিটের সংকট কাটিয়ে সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

বর্তমান সময়ে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া করোনা ঠেকানো সম্ভব নয়। তাই সবার দায়িত্ব সচেতন থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা।

Walang nakitang komento


News Card Generator