close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নিরপেক্ষ সরকার ও ১-১১ এর ছায়া: ছাত্র-জনতার দাবি ও বিএনপির অবস্থান নিয়ে বিতর্ক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের একটি ফেসবুক পোস্ট নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে। পোস্টে তিনি বিএনপি মহাসচি
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের একটি ফেসবুক পোস্ট নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে। পোস্টে তিনি বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে সমালোচনা করে এটিকে আরেকটি ১/১১ সরকারের পরিকল্পনার ইঙ্গিত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে দাবি করেন, ১/১১ সরকারের বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছে এবং বিএনপির বর্তমান অবস্থান মূলত গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে। তিনি বলেন, “বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকার গঠনের প্রস্তাব করছে, যা ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এটি বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।” ছাত্র-জনতার ভূমিকা ও জাতীয় ঐক্যের প্রশ্ন নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং তাদের ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “ছাত্ররাই বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর যা ১/১১ সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণ আলাদা করে।” তিনি আরও দাবি করেন, বিএনপির নেতারা অতীতে ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে সেনা শাসনের পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন, কিন্তু ছাত্র-জনতা কখনও কোনো সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থাকে মেনে নেয়নি। জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা ও বিএনপির ভূমিকা পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, অভ্যুত্থানের পর দেশে একটি জাতীয় সরকারের প্রয়োজন ছিল, যা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে গঠিত হতে পারত। কিন্তু বিএনপি সে সময় জাতীয় সরকারে রাজি হয়নি। তিনি বলেন, “জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। তবে বিএনপি তখনও জাতীয় সরকারে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং এখন নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলছে।” গণতন্ত্র ও বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান নাহিদ ইসলাম বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্র-জনতার সাথে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে। তিনি বলেন, “বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়। তাই বিএনপিকে ছাত্র-জনতার ঐক্যের পথে আসতে হবে।” বিতর্কিত অবস্থান ও সমালোচনা পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন, নতুন সংবিধান এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির ভূমিকা ছাত্র-জনতার দাবির পরিপন্থী। এ নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “এত হত্যা ও অপরাধের পরেও আমরা কেন জাতীয় ঐক্য করতে পারিনি?” নাহিদ ইসলাম তার পোস্টের শেষ অংশে দেশের দুর্বল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভাজনের প্রবণতা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ, কারণ আমাদের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হতে প্রস্তুত থাকে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নাহিদ ইসলামের এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ তার বক্তব্যকে ছাত্র-জনতার সংগ্রামের প্রতি সমর্থন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন। বিএনপি বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে নাহিদ ইসলামের এই মন্তব্যের বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তার এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
Ingen kommentarer fundet