'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
জনপ্রিয় উপস্থাপক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং চিকিৎসক আব্দুন নূর তুষার আবারও আলোচনায়। তবে এবার কোনো টেলিভিশন টক শো নয়, বরং সরাসরি রাজনীতির মাঠে দেওয়া তার একটি ফেসবুক মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক ও আলোচনা।
আজ বৃহস্পতিবার, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এক ব্যঙ্গাত্মক এবং গভীর বার্তা দিয়েছেন নির্বাচন ও প্রার্থীদের প্রচারণা নিয়ে।
তিনি লেখেন:“আমার বাড়ির দেয়ালে হাতপাখা মার্কায় ভোট চেয়ে পোস্টার লেগে গেছে। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন চরমোনাই পীর সাহেবের ভক্ত একজন প্রার্থী।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রাজনীতিতে অংশ নেওয়া এখন অনেকটা ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন ব্যক্তি যদি কোনো গোষ্ঠীর প্রতি ভক্তি পোষণ করেন, তবে তিনিও সরাসরি নির্বাচনের মাঠে নামছেন, এমনটাই তার ব্যঙ্গাত্মক ইঙ্গিত।
সবচেয়ে আলোচিত অংশটি ছিল যখন তিনি গুলশান কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
গুলশানে আবার যদি হিরো আলম দাঁড়িয়ে যান তবে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কে?”
এখানে স্পষ্টতই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন—রাজনৈতিক যোগ্যতা ও দক্ষতা না থাকলেও জনপ্রিয়তা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারের ভিত্তিতে অনেকে নির্বাচন করতে আসছেন।
এই বক্তব্যে তার মনের অসন্তোষ ও হতাশা স্পষ্ট। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, অনেক প্রার্থী শুধুমাত্র নাম লিখিয়ে, কয়েক হাজার টাকা জামানত দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন—যার বাস্তব কোনো ফল নেই। এ টাকা যদি সমাজের দুঃস্থ মানুষদের কল্যাণে ব্যয় হতো, তাহলে হয়তো তা হতো অধিকতর মহৎ “নির্বাচন কোনো ফেসবুক রিল না, লাইক দিলেই জিতে গেলেন।”
এটি বর্তমান সময়ের তরুণ প্রার্থীদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। ফেসবুকে হাজার হাজার ফলোয়ার বা লাইকের সংখ্যা নির্বাচনের ভোটে জয় এনে দিতে পারে না। রাজনীতির জন্য প্রয়োজন যোগ্যতা, জনগণের আস্থা, ও দৃঢ় পরিকল্পনা।
আব্দুন নূর তুষার তার ব্যতিক্রমী বিশ্লেষণী ভঙ্গি এবং সমাজচিত্রের প্রতি তার অসামান্য দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বরাবরই আলাদা নজর কাড়েন।
এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি শুধুই ব্যঙ্গ করেননি, বরং বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে ‘পপুলারিটি বনাম ক্যাপাবিলিটি’ এর প্রশ্নটি জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন।
আব্দুন নূর তুষারের এই পোস্ট যেন একটি মাইক্রো রাজনৈতিক ভাষ্য। তিনি চরমোনাই পীরের অনুসারী, সোশ্যাল মিডিয়া তারকা, কিংবা হিরো আলম—সবাইকে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এ প্রশ্ন শুধু ব্যক্তি নয়, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও।
