নাটোরে বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর বঞ্চিতদের তীব্র প্রতিবাদ, পদত্যাগের হুমকি!


নাটোর জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পরেই পদবঞ্চিত নেতারা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে আগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনের নেতৃত্বে শত শত বিএনপি নেতা-কর্মী জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় এসে শেষ হয়, সেখানে তারা একটি বিক্ষোভ সমাবেশও করেন।
সমাবেশে বক্তারা নতুন কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সংশোধনের দাবি জানান। বক্তারা বলেন, নতুন কমিটিতে নানা ধরনের অসংগতি রয়েছে, যেগুলি দলীয় আদর্শের সঙ্গে মিলছে না। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, বহিষ্কৃত নেতা মিজানুর রহমান ডিউককে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে, যদিও তার বহিষ্কারাদেশ আজও প্রত্যাহার করা হয়নি। এছাড়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদকে সদস্যসচিব করা এবং বিতর্কিত ব্যবসায়ী আবুল কাশেমকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও বেশ সমালোচিত।
কমিটি ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পদবঞ্চিত নেতারা একে 'দলবিরোধী ষড়যন্ত্র' হিসেবে অভিহিত করেন এবং কমিটি সংশোধনের দাবি জানান। তারা বলেন, যারা দলের জন্য রক্ত দিয়েছেন, যারা জেলে গেছেন, তাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটিতে রাখা হয়নি, এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই, তারা ঘোষণা দেন যে যদি তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে তারা আরও বড় পরিসরে বিক্ষোভ করবে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করবে।
এসময় সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম (বাচ্চু) বলেন, 'আমি বহুবার প্রতিপক্ষের হামলার মুখোমুখি হয়েছি, রক্ত ঝরিয়েছি, বহু মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাবাস করতে হয়েছে, অথচ আজ এই প্রতিদান পেয়েছি।' তিনি আশা প্রকাশ করেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কমিটি সংশোধন করে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি ঘোষণা করবে।
এদিকে, নাটোর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর, সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব দাউদার মাহমুদ আবারও যুগ্ম আহ্বায়ক পদ ফিরে পেয়েছেন। তিনি আগের কমিটিতেও যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন, তবে কিছুদিন আগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। নতুন কমিটিতে পদ ফিরে পাওয়ার পর দাউদার মাহমুদ এবং তার সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল বের করেন। সিংড়া উপজেলা কোর্ট মাঠে তাকে উপজেলা, পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনগুলি গণসংবর্ধনা দেয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুশ্চিন্তায় আছেন এবং ভবিষ্যতে দলের কমিটি নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন ও বিক্ষোভের আশঙ্কা রয়েছে।
বিএনপির নেতারা যে আন্দোলনের পথে হাঁটছেন, তা দলের ভবিষ্যতের জন্য বড় ধরনের সংকেত হতে পারে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली