প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত নারী পুলিশ সদস্যের নাম ইতি খানম, যিনি বর্তমানে কালিয়াকৈর থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি সাভার থানার কোয়ার্টারে থাকেন এবং ওইদিন রিকশাযোগে সাভার থানা রোডে যাচ্ছিলেন।
এনাম মেডিক্যালের সামনে পৌঁছালে তার সঙ্গে সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহর ড্রাইভার সোহেল বাবুলের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সোহেল বাবুল ইতি খানমকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
নেতার প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ জানান, মারধরের সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না এবং এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তিনি দাবি করেছেন, যদি তিনি গাড়িতে থাকতেন, তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না। এরপর পুলিশ সাভার থানায় তার ড্রাইভারকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। আহসান উল্লাহ কিছুক্ষণের মধ্যে থানায় যাবেন বলে জানান।
পুলিশের পদক্ষেপ
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ঘটনা সাভার এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।