কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘটে যাওয়া এক নারকীয় ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনা যেন কেবল অপরাধ নয়, বরং রাজনৈতিক দোষারোপের অস্ত্র হয়ে উঠেছে। ভুক্তভোগী নারীর নাম নেই, পরিচয় নেই — আছে কেবল রাজনৈতিক দলীয় পরিচয়ের বিভাজন। কে ক্ষমতায়, কে বিরোধী — এই প্রশ্নে রক্তাক্ত হচ্ছে ন্যায়বিচার। এই ঘটনায় কারা জড়িত, সেটি স্পষ্ট না হলেও, তারা কোন দলের কর্মী ছিল তা ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্কের আগুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা সরাসরি মন্তব্য করেছেন, “এই যে নারীর শরীরকে রাজনীতির অস্ত্র বানানো হচ্ছে — এটি একটি জঘন্য প্রবণতা। ভিডিওটি যেভাবে ভাইরাল হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে আইনত অপরাধ। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে গিয়েই সব দল বিষয়টিকে উৎসাহিত করছে।”
তিনি আরো বলেন, “ভুক্তভোগী নারীর চেয়ে যেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কে কার দলের — এই লজ্জার রাজনীতি চলছে এখন। এটা শুধু দলবাজির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং আইনের প্রতি চরম অবহেলা।”
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমও তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “এই ঘটনাটি ভয়াবহ এবং এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। তবে ঘটনার পরপরই বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলে, অথচ এখন পর্যন্ত যাদের চিহ্নিত করা গেছে তারা কেউ বিএনপির সঙ্গে যুক্ত নয়। বরং তাদের কেউ কেউ এক সময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ছিলেন।”
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. রেজাউল করিম বলেন, “অপরাধী অপরাধীই — সে যে দলের হোক না কেন। ধর্ষক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। দোষ প্রমাণিত হলে সে যে দলেরই হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।”



















