close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা: ছয় দেশকে ‘গুরুতর পরিণতির’ হুমকি দিল ইরান!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক সহায়তা দিলে রেহাই নেই—ইরানের হুঁশিয়ারিতে কাঁপছে ইরাক, তুরস্ক, কাতারসহ ছয় দেশ। উপসাগরে যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।..

ধ্যপ্রাচ্যে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এবার সরাসরি ছয়টি দেশের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, তুরস্ক ও বাহরাইনকে উদ্দেশ্য করে ইরান জানিয়েছে—তারা যদি মার্কিন সামরিক অভিযানে কোনোভাবে সহযোগিতা করে, বিশেষ করে নিজেদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেয়, তাহলে তাদের ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

বিশ্ব গণমাধ্যম রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, এই হুঁশিয়ারির মূল সূত্রপাত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক বিবৃতি থেকে, যেখানে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক হামলার হুমকি দেন। তার পাল্টা জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

এই ঘোষণার পরই মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনার আগুন। সামরিক উপস্থিতি, যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন ও বিমানঘাঁটিতে নজরদারি বেড়েছে। ইরান তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করছে। ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় বড় ধরনের সামরিক সংঘর্ষ শুরু হতে পারে।

আরব উপসাগরের দেশগুলো আজ অস্বস্তিকর দ্বিধার মধ্যে পড়ে গেছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মিত্রতা, অন্যদিকে প্রতিবেশী ইরানের ভয়ংকর প্রতিশোধের শঙ্কা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে শুধু এই অঞ্চলেরই নয়—পুরো বিশ্বের ওপরই এর প্রভাব পড়বে। কারণ এই উপসাগরীয় অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি সরবরাহকারী এলাকা। এখানে সামান্য উত্তেজনাই তেলের দাম আকাশচুম্বী করে তুলতে পারে। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে।

এই অবস্থায় কূটনৈতিক উদ্যোগও চলছে সমানতালে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে, ইরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে তারা ওমানের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ সংলাপে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

একজন ইরানি কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ‘আমরা পরোক্ষ আলোচনায় যাচ্ছি এটা বোঝার জন্য যে, যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই কি কোনো রাজনৈতিক সমাধান চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি তাদের আন্তরিকতা দেখি, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ আলোচনায় ইরানের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি অথবা উপমন্ত্রী মজিদ তাখত-রাভানচির নাম বিবেচনায় রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ইরানি কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, ‘এই সংলাপ সহজ হবে না। এটি হতে পারে দীর্ঘ, জটিল ও অনিশ্চিত এক পথ।’


 

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য যেন এক বিস্ফোরক পাত্র। সামান্য ভুল সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলকে টেনে নিয়ে যেতে পারে ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে, যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে। এখন দেখার বিষয়, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্তির পথে মোড় নেয় নাকি গর্জে ওঠে যুদ্ধের শঙ্খ।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি


News Card Generator