বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য বয়ান ছড়িয়ে দিতে তৎপর। মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার এই অপচেষ্টা জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করবে।
মঙ্গলবার বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় আল শামস ও আল বদর বাহিনী গঠন করে বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত এবং মা-বোনদের সম্ভ্রমহানিকারী পরাজিত শক্তি আজ নতুন নতুন বয়ান নিয়ে আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে। তাদের প্রতিহত করার দায়িত্ব বিএনপির।” তিনি বলেন, “বিএনপির জন্ম দিয়েছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা—এটাই আমাদের ঐতিহ্য ও শক্তি।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এখনো পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেন, তারা ভুলে যাবেন না—বাঙালির সন্তানেরা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।”
মুক্তিযুদ্ধের সার্বজনীন চরিত্র তুলে ধরে টুকু বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনতার যুদ্ধ—কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমারসহ সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে যারা কটাক্ষ করে, তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। শহীদের রক্ত ও মায়ের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সঙ্গে কোনো আপস চলবে না।”
সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে সরিয়েছি; কিন্তু তার চেয়েও বড় শত্রুর উত্থান ঘটছে। তাই যুবক-তরুণদের জেগে থাকতে হবে, পাহারা দিতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।”
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আজিজুর রহমান দুলাল, সহ-সভাপতি ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, ভিপি শামীম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, বিএনপি নেতা রাশেদুল হাসান রঞ্জনসহ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠান শেষে ইসলামিয়া কলেজ মাঠ থেকে শুরু হওয়া বিজয় র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার স্টেশনে গিয়ে শেষ হয়।



















