close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

মাকে দেখে বাসায় ফিরলেন তারেক রহমান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Tarique Rahman returns to Bangladesh after 17 years, receiving a grand welcome at Dhaka airport.

দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজ জন্মভূমিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা হয়। গত বুধবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হওয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি সিলেট হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়, যেখানে প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের হাজারো নেতাকর্মী।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছালে তাকে প্রথম ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে একে একে আলিঙ্গন করেন তারেক রহমান। দীর্ঘ সময় পর সহযোদ্ধাদের কাছে পেয়ে তিনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন; বিশেষ করে তার শাশুড়ি তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও এই সফরের সঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশে ফিরেছেন।

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল। যদিও সিলেটে বিমানটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি নেয়, সেখানেও নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উদ্দীপনা। ঢাকায় তার আগমন উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের জনস্রোত বিমানবন্দর এলাকা ছাড়িয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় তারেক রহমানকে হাস্যোজ্জ্বল ও আত্মবিশ্বাসী দেখা যায়, যা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক নির্বাসনের ক্লান্তিকে ছাপিয়ে গিয়েছিল।

এই প্রত্যাবর্তনের রাজনৈতিক তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের সশরীরে উপস্থিতি বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সরাসরি গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যেখানে তিনি দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার এই দেশে ফেরা কেবল একজন ব্যক্তির ফেরা নয়, বরং একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রাণশক্তি ফিরে পাওয়া হিসেবে দেখছেন সমর্থকরা। আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনীতিতে তার ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েই এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

没有找到评论


News Card Generator