কুষ্টিয়া সদর উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন মালার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ..

Badsha Alamgir avatar   
Badsha Alamgir
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন মালার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।..

কাঞ্চনমালা তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিন্তু সেবা গ্রহীতাদের কাছে তিনি একটি আতংক । তিনি আসলে মানুষকে মানুষ বলে মনে করেন না। তিনি সেবা গ্রহীতাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তার সাথে কথা বলার সময় সেবা গ্রহীতারা একশত বার চিন্তা করেন। কোন কথা জিজ্ঞেস করলে সোজা ভাবে উত্তর না দিয়ে বাঁকাভাবে উত্তর দেন। 

উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চনমালা তিনি চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের দিয়ে তার ব্যক্তিগত  কাজকর্ম করার জন্য বাধ্য করেন। 

তিনি অফিস চলাকালীন অফিসের ভিতরে মাথার চুল খুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী দিয়ে জোরপূর্বক মাথার উকুন তুলিয়ে নেন। যদি তার কথা কেউ না শোনে তাহলে তার নামে বিভিন্ন আজেবাজে কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বলে এবং বিভিন্নভাবে তার ওপরে চাপ সৃষ্টি করে।

কয়েকজন এনজিও কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানতে পারি, তিনি প্রত্যয়ন বাবদ এনজিও এর  কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন, টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রত্যয়ন দিতে বিলম্ব করেন এবং তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তাই এনজিও এর কর্মকর্তা টাকা দিয়ে প্রত্যয়ন নিতে বাধ্য হন।

মকবুল হোসেন নামের একজন ডিস ব্যবসায়ী বলেন, আমার ডিস ব্যাবসার লাইসেন্স নিয়ে ঝামেলা হয়, এই ঝামেলায় উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চনমালা বিরোধী পার্টির কাছ থেকে   টাকা খেয়ে আমার নামে ৭০ পাতার কাগজ বানিয়ে রিপোর্ট দেয়। সেই মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত যাই। এখনো সেই মামলার ভেরিফিকেশন চলছে।  কাঞ্চনমালার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার ব্যবহার খুবই জঘন্য সবার সাথেই খারাপ আচরণ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হাট বাজারের ঠিকাদার ভুক্তভূগি বলেন, কাঞ্চনমালা প্রথমদিকে আমাদের সাথে ভালোই ব্যবহার করতেন কিন্তু কাঞ্চনমালার স্বামী একটি বীমা কোম্পানিতে চাকুরি করেন, আমি উপজেলা পরিষদে যখনই যাই কাঞ্চনমালা  তার স্বামীর এই বীমা কোম্পানিতে গ্রাহক গুছিয়ে দিতে বলেন, আমি যখন গ্রাহক গুছিয়ে দেইনি তখন থেকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করেছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের কর্মরত একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা বলেন, আমাকে মাঝেমধ্যেই কাঞ্চন মালার বাসায় কাজ করার জন্য যেতে বলতো  কিন্তু আমি যেতে রাজি না হওয়ায় তারপর থেকে আমার নামে স্যারের কাছে উল্টা পাল্টা কথা বলে, আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন মালার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রোকনুজ জামান বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন মালার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

















Walang nakitang komento