close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

খুলনায় বুলডোজারের আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘শেখ বাড়ি’

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
খুলনায় উত্তেজনার মধ্য দিয়ে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘শেখ বাড়ি’। বুধবার রাতে নগরীর ২৩ শেরেবাংলা রোডে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই
খুলনায় উত্তেজনার মধ্য দিয়ে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘শেখ বাড়ি’। বুধবার রাতে নগরীর ২৩ শেরেবাংলা রোডে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের বাড়ির সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ শুরু করে এবং পরে সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর দুটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটির প্রধান ফটক ও বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ বুলডোজার চালানোর সময় উত্তেজিত ছাত্র-জনতা স্লোগান দিতে থাকে—‘শেখ বাড়ির আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতার ভিড় ক্রমেই বাড়তে থাকে। এর আগেও ৪ ও ৫ আগস্ট দফায় দফায় শেখ বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। তখনও উত্তেজিত জনতা শেখ বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ব্যাপক হামলা বুধবার রাতেই বিক্ষোভের আগুন শুধু খুলনাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকায়ও। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে এবং বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসার সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। স্লোগানে মুখরিত রাজধানী ধানমন্ডিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়—‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জনে জনে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যদের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানী ও খুলনায় চলমান এই বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির চরম উত্তেজনা ও প্রশাসনের নীরবতা এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনার ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকায় প্রশাসনের করণীয় কী হবে, তা নিয়ে এখন চলছে নানা আলোচনা। আপাতত সারাদেশের জনগণ দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली