জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা গানম্যান নিয়ে চলাফেরা করার মধ্যে কোনো গৌরব নেই, যদি দেশের সাধারণ মানুষ অনিরাপদ থাকে। তার মতে, জুলাই বিপ্লবের সময় যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, তারা এখনো আইনের আওতায় না আসা রাষ্ট্রের জন্য একটি বড় ব্যর্থতা।
আখতার হোসেন বলেন, "খুনিরা যখন বাইরে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তখন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া কোনো সমাধান নয়।" তিনি মনে করেন, প্রকৃত নিরাপত্তা তখনই আসবে যখন প্রতিটি অপরাধী তাদের কৃতকর্মের জন্য আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিগত সরকারের সময় যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, তা ভাঙতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ গঠন অসম্ভব।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গানম্যান নিয়ে চলাফেরা করা এক ধরনের কৃত্রিম নিরাপত্তা। যদি রাজপথে খুনিরা অবাধে বিচরণ করে, তবে সেই রাষ্ট্র কখনোই নিরাপদ হতে পারে না। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অতি দ্রুত জুলাই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড এবং সরাসরি জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। জনমনে স্বস্তি ফেরাতে হলে রাজপথ থেকে খুনিদের সরিয়ে কারাগারে পাঠাতে হবে।
শহীদ ও আহতদের পরিবারের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তারা গানম্যান চায়নি, তারা চেয়েছিল একটি নিরাপদ ও বৈষম্যহীন দেশ। সেই লক্ষ্য অর্জনে বিচার নিশ্চিত করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। তার দাবি, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা হবে সমান, কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য আলাদা প্রটোকল নয়।



















