close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

কে কখন নির্বাচন চায়, একান্তই দলীয় বিষয় : জনতা পার্টি বাংলাদেশ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
‘নতুন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের বিপক্ষে’—বিএনপি নেতা আমীর খসরুর এমন বক্তব্যের কড়া জবাব দিল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’। বললো, কে কবে নির্বাচন চাইবে, সেটা একান্তই দলীয় সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের..

নতুন রাজনৈতিক দল মানেই অবজ্ঞার পাত্র নয়—জনতা পার্টি বাংলাদেশের সরব বার্তা।
‘কে কখন নির্বাচন চায়, সেটি একান্তভাবেই দলীয় সিদ্ধান্ত’—এই মন্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে নবগঠিত রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’।

রবিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন এবং মহাসচিব শওকত মাহমুদ জানান, বিএনপির শীর্ষ নেতা আমীর খসরুর বক্তব্য রাজনৈতিক সৌজন্যবোধকে ভেঙে দিয়েছে।

গত ৩১ মে এক আলোচনা সভায় আমীর খসরু মন্তব্য করেন, ৫ আগস্টের পর যেসব রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে, তারা আসন্ন ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না। এ বক্তব্য প্রসঙ্গে জনতা পার্টি জানায়, এ মন্তব্য একটি দুঃখজনক ও অবমাননাকর প্রচারণা, যার মাধ্যমে নবাগত রাজনৈতিক দলগুলোর বৈধতা ও নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

জনতা পার্টি জানায়, তারা গত ২৫ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ করেছে এবং কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি সময়সূচিকে অনুসরণ করাটা তাদের দায়িত্ব নয়। তারা বলেন, নতুন দলগুলোর অবস্থানকে নিয়ে এমন মন্তব্য করে বিএনপি যেন বোঝাতে চাইছে, ৫ আগস্টের পর জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর অস্তিত্বই অস্বীকারযোগ্য বা অপাংক্তেয়।

বিবৃতিতে দলটি আরও উল্লেখ করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাই গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্তম্ভ। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরে বলে, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরেও নতুন রাজনৈতিক দলের উদ্ভব স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়—মুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামী লীগের বাইরে গঠন করেছিলেন নতুন রাজনৈতিক দল; ৭৫-এর বিপ্লবের পর ৭০টির মতো দল নিবন্ধন নেয়, যার একটি বিএনপি নিজেই।

তারা প্রশ্ন তোলে, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দলের একজন নেতা কীভাবে এতো সংকীর্ণভাবে নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করতে পারেন?

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি অস্থিরতা কাজ করছে, যেখানে মতভেদকে ঘৃণা দিয়ে দমন করার প্রবণতা লক্ষণীয়। একে এক ধরনের “মব জাস্টিস”-এর রাজনীতি বলে উল্লেখ করেন তারা। বিশেষ করে, ড. ইউনূস প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও পেশাব সংক্রান্ত অবমাননাকর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে দলটি উদ্বেগ প্রকাশ করে।

তারা দাবি করেন, এই ধরণের বক্তব্য শুধু অশোভন নয়, বরং রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সম্পূর্ণ ব্যত্যয়। বিএনপির উপদেষ্টা, জামায়াত ও এনসিপির কিছু নেতার বক্তব্যও সমানভাবে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করে দলটি।

জনতা পার্টি বাংলাদেশের দাবি, তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় গঠিত একটি মধ্যপন্থী, সংস্কারমুখী রাজনৈতিক দল। তারা মনে করে, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

তারা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী বিচার ও প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রের নামে তুচ্ছতা ও বিভাজনের রাজনীতি না করে সম্মিলিত দায়িত্ববোধে ভবিষ্যৎ নির্মাণের আহ্বান জানায় জনতা পার্টি বাংলাদেশ।

نظری یافت نشد