২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা আমাদের জাতীয় সংকল্প। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।”
সামরিক ও কূটনৈতিক কড়া পদক্ষেপ:
পেহেলগামের ঘটনায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করছে। আর এর জবাবে পাকিস্তান তা সাফ অস্বীকার করেছে।
কিন্তু ভারত তাতে থামেনি। সীমান্ত বন্ধ, ভিসা নিষেধাজ্ঞা, পাকিস্তানি কূটনীতিক সংখ্যা কমানো, এমনকি বহু পুরনো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত।
দুই দেশের উত্তেজনা চরমে:
অন্যদিকে পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ওয়াঘা সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত ঘোষণা করেছে, যা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা বাড়াচ্ছে।
এছাড়া, নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসি-তে সম্প্রতি কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, যা দুই দেশের মাঝে নতুন করে উত্তেজনার আগুন জ্বালিয়েছে।
রাজনৈতিক স্তরেও সরব ভারত:
সন্ত্রাসী হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS)-এর বৈঠক ডাকা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করসহ পাঁচজন মন্ত্রী এতে অংশ নেন।
বিশ্লেষকদের মত:
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে মোদি সরকার ফের ক্ষমতায় আসার পর এই হামলাকে কেন্দ্র করে প্রথম বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এবার সরকার যে নরম নয়, সেটা সেনাবাহিনীকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়ার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছে।
