close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

জুলাইয়ের মতো আগামীর বাংলাদেশেও নেতৃত্ব দেবে এনসিপি’

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
লক্ষ্মীপুরে মতবিনিময় সভায় এনসিপি নেতা মাহবুব আলম জানালেন, “৭১ মীমাংসিত হয়েছে, ২৪-ও হবে।” জানালেন, নিঃশর্ত ঐক্য নয়, ব্যতিক্রমধর্মী রাজনীতির পক্ষেই এনসিপি। আওয়ামী লীগপন্থীদের আশ্রয় দেওয়া দলগুলোকেও হুঁশি..

‘জুলাইয়ের মতো আবারো বদলে যাবে বাংলাদেশ, নেতৃত্বে থাকবে এনসিপি!’—মাহবুব আলমের দৃপ্ত ঘোষণা

আগামী দিনের বাংলাদেশে আবারও নেতৃত্ব দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—এই ঘোষণা দিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম। তিনি বলেন, “জুলাইয়ের মতোই নতুন করে বাংলাদেশের রাজনীতির নেতৃত্বে আসবে এনসিপি। তবে এটা হবে নিঃশর্ত নয়, শর্তযুক্ত ও নীতিনিষ্ঠ ঐক্যের মাধ্যমে।”

লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব আলম বলেন, “আমরা ব্যতিক্রমধর্মী ও বাংলাদেশপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। প্রচলিত রাজনৈতিক দলের ন্যায় সুবিধাবাদী নয়, বরং আমরা সুষ্ঠু ও টেকসই রাজনীতির ধারা প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা সংস্কারের পথে হাঁটবে এবং সৎ রাজনৈতিক পরিবেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে, তাদের সঙ্গেই আমাদের ঐক্য হতে পারে। তবে নিঃশর্ত ঐক্যের নামে ফ্যাসিবাদী প্রকল্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।”

‘৭১ যেমন মীমাংসিত হয়েছে, ২৪-ও হবে’

তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সাল ছিল মীমাংসিত ইতিহাস। ঠিক তেমনি ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অপরাধ, জুলুম এবং ষড়যন্ত্রের বিচার করেও ইতিহাসে চূড়ান্ত রায় আনতে হবে। যারা ২৪-এর অপরাধে জড়িত, তাদের বিচার না করে নতুন বাংলাদেশ গঠন অসম্ভব। এজন্য আমাদের বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সংবিধানসহ সবকিছুর মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার ব্যতীত কোনো নির্বাচনই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”

‘আওয়ামী লীগ ঘেঁষা দলগুলোকেও প্রতিহত করা হবে’

মাহবুব আলম কড়া ভাষায় অভিযোগ করেন, “বর্তমানে যেসব দল মুখে বিচার ও সংস্কারের কথা বলছে, তারাই আবার আওয়ামী লীগের দোষী নেতাকর্মীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছে। এসব দলের নেতারা আওয়ামী লুটপাটকারীদের ব্যবসা পাহারা দিচ্ছে। এটা স্পষ্ট গাদ্দারী। এভাবে চললে জনগণের সহযোগিতা নিয়ে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, এদেরও প্রতিহত করা হবে।”

‘জুলাই বিপ্লব ও শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এনসিপির অঙ্গীকার’

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই বিপ্লব, জনগণের অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ—এসবই আমাদের রাজনীতির মূল ভিত্তি। শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নই এনসিপির উদ্দেশ্য। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে আমরা মাঠে আছি। এনসিপির দাওয়াত নিয়ে আমরা ঘরে ঘরে যাচ্ছি, তৃণমূল মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি।”

লক্ষ্মীপুরে তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য নিয়েও তিনি বলেন, “এলাকায় উপস্থিত হয়ে আমরা দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করেছি, শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি। ইনশাআল্লাহ, আগামী বাংলাদেশেও জনগণের নেতৃত্বে থাকবে এনসিপি।”

সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ

এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির নোয়াখালী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক মুনতাসিব মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক হামজা মাহবুব, রাকিব হোছাইন, আরমান হোসেন, কাউসার হাবীব, লক্ষ্মীপুর জেলার সংগঠক আবদুল হামিদ খান, আলমগীর হোসেনসহ অনেকেই।

 

জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত এনসিপি এখন মাঠে নামছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে। ফ্যাসিবাদ, সুবিধাবাদ ও দ্বিচারিতা বিরোধী এই দল সংস্কার ও বিচারকে মূল অস্ত্র করে জনগণের মাঝে ফের ঘাঁটি গেড়ে নেতৃত্বে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এনসিপি’র এই স্লোগান এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন উত্তাপ ছড়াচ্ছে—
“আগামী বাংলাদেশ, জুলাইয়ের মতো আবারও এনসিপির নেতৃত্বেই বদলাবে।

לא נמצאו הערות