close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা নয়—ইসরায়েলি হামলার পর পরমাণু ইস্যুতে ‘বন্ধ দরজা’ ঘোষণা ইরানের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার আর কোনো মানে নেই। চুক্তি..

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনাকে সময়ের অপচয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই এক বিস্ফোরক মন্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলা এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এ আলোচনাকে অর্থহীন করে তুলেছে।

ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাকাই বলেন,
“যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে ন্যূনতম প্রতিবাদ জানাতো কিংবা তা অনুমোদন না করতো, তাহলে তেলআবিব কখনোই ইরানে হামলার সাহস দেখাতো না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই আক্রমণে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এই অবস্থায় আলোচনার কোনো ভিত্তি আর অবশিষ্ট নেই।”

এদিকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান পারমাণবিক চুক্তি বিষয়ক আলোচনা রবিবার ওমানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ইসরায়েলের হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই সংলাপ হয়তো বাতিল হয়ে যেতে পারে কিংবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মে মাসে ওমানের মধ্যস্থতায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ছয় দফা পরমাণু আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল—ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিস্তার রোধ এবং অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা প্রশমিত করা। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে এই আলোচনা ধীরে ধীরে অনিশ্চয়তায় পড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
“আমি সবসময় চাইতাম ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি কার্যকর চুক্তি হোক। এখনো সুযোগ রয়েছে। সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি।”

তবে ইরানি পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, শুধু চুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করলেই হবে না—এর জন্য প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ ও বিশ্বস্ততা। ইসরায়েলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান যদি এইরকমই থাকে, তাহলে ইরানের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,
ইরান এখন কূটনীতির চেয়ে প্রতিরক্ষা কৌশলে বেশি মনোযোগ দেবে। দেশটির নেতারা মনে করছেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র এখন আর নিরপেক্ষ অবস্থানে নেই।

Geen reacties gevonden