যশোরে হাত-পা বেঁধে নববধূকে ধর্ষণ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যশোরে ভয়াবহ এক ধর্ষণের ঘটনায় নববধূ তারই স্বামীর পরিচিত এক নারীর বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরের ভেতর আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় তাকে। থানায় মামলা দায়ের হলেও মূল অভিযুক্ত বৃষ্ট..

যশোরের সদর উপজেলার রামনগর এলাকায় ঘটে গেছে এক নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা। স্বামীর সাথে নতুন ঘর খুঁজতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ পরিচিতজনের ফাঁদে পড়ে এক নববধূ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এক নারীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেলেও বাকি তিনজন অজ্ঞাত।

ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ মে, বৃহস্পতিবার। পুলিশ ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদরের শেখহাটি এলাকার বাসিন্দা রুবেল ও তার নববিবাহিতা স্ত্রী রামনগর এলাকায় বসবাসের জন্য একটি ভাড়া বাড়ি খুঁজছিলেন। রুবেলের পূর্বপরিচিত এক নারী, নাম বৃষ্টি, তাদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন এবং নিজ বাসায় একটি বাড়ি দেখাতে নিয়ে যান। তারা বাড়িটি পছন্দও করে ফেলেন। এরপর রুবেল বাজার করতে বাইরে গেলে তার স্ত্রী ওই বাড়িতে একা ছিলেন।

বৃষ্টির বাড়িতে তখন ঘটে ভয়াবহ ঘটনাটি। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বামী বাইরে যাওয়ার পর নববধূ কিছু সময় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই চুল লম্বা এক ব্যক্তি ঘরে ঢুকে পড়ে এবং দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন বৃষ্টি নিজেই। এরপর সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি নববধূর হাত-পা এবং মুখ বেঁধে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ঘরের বাইরে পাহারায় ছিলেন বৃষ্টি এবং আরও দুইজন পুরুষ। ভুক্তভোগী নারীর চিৎকার শোনার কেউ ছিল না—পুরো ঘটনাটি ঘটে নিঃশব্দে, নিষ্ঠুরতার সাথে।

ভুক্তভোগী নববধূ পরে সাহস করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তদের একজনের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে—তিনি হলেন বৃষ্টি। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, এবং মামলার দায়িত্বে রয়েছেন এসআই দেবাশীষ হালদার।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, “নববধূকে ধর্ষণের ঘটনায় আমরা মামলা নিয়েছি। আসামিদের শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। মূল সন্দেহভাজন বৃষ্টি পলাতক থাকায় তাকে আটকের জন্য জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে অন্য আসামিদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হবে।”

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনার পরপরই বৃষ্টি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে এবং তার অবস্থান শনাক্তে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।

এই ভয়াবহ ঘটনাটি সমাজে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এক নারীর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এমন জঘন্য অপরাধের ঘটনায় জনমনে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন।

Geen reacties gevonden