close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

জনতার মঞ্চের বিভিন্ন উইংয়ের মুভগুলো স্পষ্ট হচ্ছে: আসিফ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জনতার মঞ্চের বিভিন্ন উইংয়ের গতিবিধি এখন আর অস্পষ্ট নয়—পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তাঁর মতে, দীর্ঘদিনের সুবিধাবাদে অভ্যস..

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন জনতার মঞ্চকে ঘিরে। তিনি জানান, জনতার মঞ্চের বিভিন্ন উইংয়ের নড়াচড়া এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং এতে বোঝা যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী সংস্কারের ধারায় অস্বস্তি বোধ করছে। সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “সংবাদ সম্মেলনে এক রাজনৈতিক দলের ব্যবসায়ী নেতা বললেন, শিল্পে গ্যাস না দিয়ে যেন বুদ্ধিজীবী হত্যার মতোই ব্যবসায়ীদের হত্যা করা হচ্ছে! শ্রমিকদের বেতন দিতে দেরি হলে সরকার হুমকি দিচ্ছে। শুনে মনে হবে, কী ভয়ংকর জুলুমবাজ সরকার!”

তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, এই অভিযোগগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আসল সত্য হলো, গত বছরের তুলনায় শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই প্রবণতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই তথ্য উপস্থাপন করলেই পরিষ্কার হয় যে, শিল্প ও ব্যবসার বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত আক্রমণ সরকারের নেই।

জনতার মঞ্চ নিয়ে উদ্বেগ

আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার মন্তব্যে আরও বলেন, “জনতার মঞ্চের বিভিন্ন উইংয়ের মুভগুলো এখন স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা লুটপাটের ‘সেটেলমেন্ট’ আজ ভেঙে যেতে বসেছে, তাই এখন কোনো সংস্কারই তাদের কাছে ভালো লাগছে না।”

এই বক্তব্যে স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালিত এই সংস্কারমূলক উদ্যোগ কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে তারা যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধু সুবিধা ভোগ করে আসছিল দীর্ঘ সময় ধরে।

রাজনৈতিক ইঙ্গিত ও পেছনের চালচিত্র

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জনতার মঞ্চের বিভিন্ন সংগঠন ও অংশীদাররা বর্তমানে একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সক্রিয় হয়েছে। লক্ষ্য হলো সরকারকে চাপে ফেলা এবং সংস্কার প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। আসিফ মাহমুদের মন্তব্যে এই অদৃশ্য কৌশলগুলো চোখে পড়ে, যেখানে একটি সুবিধাবাদী শ্রেণি বর্তমানে তাদের পুরোনো ‘স্বর্ণযুগ’ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তাদের ভাষ্য ও প্রচারণার পেছনে মূল উদ্দেশ্য সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করা এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক কাঠামোর সংস্কার বন্ধ করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে সরকারকে খুব সুস্পষ্টভাবে রাজনৈতিক যোগাযোগ এবং স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রতিটি ইস্যুর জবাব দিতে হবে।

 

জনতার মঞ্চের কার্যক্রম এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য এখন রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে। আসিফ মাহমুদের এই মন্তব্য সাধারণ জনমনে প্রশ্ন তুলেছে—আসলে কারা সংস্কারবিরোধী? কারা চায় না স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি ফিরে আসুক?

Nenhum comentário encontrado