close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
নেত্রকোনা: জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেছেন, "জিয়াউর রহমানই প্রথমে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারপরে তিনি বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলেন। তাই জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক।"
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার বকুলতলায় ২৮তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণের পর বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান হাফিজ আরও বলেন, "হাসিনা সরকার ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছে। ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে সুযোগ পেয়েছি, তা নস্যাৎ করার জন্য এখনও ষড়যন্ত চলছে। তা হতে দেওয়া যাবে না। আমরা যেন সচেতন থাকি। আমি দেখেছি জুলাই-আগষ্টে অন্দোলনের সময় কত প্রাণ গেছে, লক্ষ লক্ষ লোকের শোক দেখেছি। নেত্রকোনা জেলার ১৭জন প্রাণ দিয়েছেন। এখনও অনেকের কোনো খবর নাই। জাতিসংঘের রিপোর্টেই তা প্রমাণিত হয়েছে।"
মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, "সীমান্তে কোনো হত্যা চাই না। কোনো কাঁটাতারের বেড়া চাই না। সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে, আমরা সমতা চাই। আমরা যেন কারো কাছে মাথা নত না করি। আমাদের বন্ধুত্ব হবে ন্যায্যতার, ভিত্তিতে সমতার ভিত্তিতে।"
নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি মাহাবুবুল কিবরিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক কবি তানভীর জাহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. আনোয়ারুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক হায়দার জাহান চৌধুরী, লেখক প্রফেসর ননী গোপাল সরকার, মেজর (অব) সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তারা তাদের বক্তব্যে সাহিত্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয় রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। কবি হাসান হাফিজের বক্তব্য অনুষ্ঠানে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান এবং বর্তমান সরকারের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন। তার এই বক্তব্য উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারাও তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি একটি জাতির পরিচয় বহন করে। তাই এই দুটি বিষয়ের উপর আমাদের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত। তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা আমাদের জন্য খুবই জরুরি।
এই সাহিত্য উৎসবটি নেত্রকোনার সংস্কৃতি অঙ্গনে একটি নতুন উদ্দীপনা নিয়ে এসেছে। এই ধরনের অনুষ্ঠান আরও বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
Keine Kommentare gefunden



















