close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন রাশেদ খান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Rashed Khan confirmed as BNP candidate for Jhenaidah-4 after Gulshan meeting.

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনী এলাকায় বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১৬ মিনিটে এক মুঠোফোন সংলাপে রাশেদ খান নিজেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার এই বক্তব্যের পর ঝিনাইদহের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

রাশেদ খানের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবং ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ আলোচনার পর দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। রাশেদ খান জানিয়েছেন, দল থেকে তাকে এই আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি একটি বিশেষ শর্ত জুড়ে দেন। তার শর্তটি ছিল, নির্বাচনের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনি এলাকায় একটি বিশাল জনসভা করতে হবে। বিএনপি নেতৃত্ব এই শর্তে রাজি হওয়ার পরই তিনি প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

পারিবারিকভাবে রাশেদ খান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মুরারিদহ গ্রামের সন্তান। তার পিতা নবাই বিশ্বাস ওই এলাকার একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা রাশেদ খান বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন। তবে একই সাথে দুটি রাজনৈতিক মেরুকরণে তার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, তিনি তার নিজ দলেও থাকছেন এবং জোটবদ্ধ রাজনীতির অংশ হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এই ঘোষণার পর থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মনে করছেন, তরুণ নেতৃত্বের উত্থান এলাকায় নতুন গতির সঞ্চার করবে।

অন্যদিকে, এই খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী মনে করছেন, দলের ভেতরে যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও বাইরের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে সাংগঠনিক ঐক্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তারা অবিলম্বে দলের নিজস্ব কোনো নেতাকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না আসলেও রাশেদ খানের এই আগাম বার্তায় মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

Walang nakitang komento


News Card Generator