close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
নাটোরের সদস্যপদ পাওয়ার আশায় যুদ্ধের অন্ধকারে ঢুকে পড়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিশ্রুতির মোহে পড়ে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিকে এক ভয়ংকর সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ, তিন বছর পর, সেই যুদ্ধই তার জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিত্রদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো এখন শুধু কথার কথা, আর বাস্তবতায় ইউক্রেন আজ বিধ্বস্ত।
যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতি
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত গড়িয়েছে তিন বছরে। এ সময় হাজার হাজার সেনা ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, ধ্বংস হয়ে গেছে শহর, গ্রাম, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য যে সহায়তা পেয়েছে, তার বেশিরভাগই এখন পরিণত হয়েছে ঋণে।
পশ্চিমা মিত্রদের বিশ্বাসঘাতকতা
বলা হয়ে থাকে, ইউক্রেনের এই যুদ্ধ শুধুমাত্র রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার নয়; বরং এটি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর একটি প্রক্সি যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো দেশগুলো গত তিন বছরে ইউক্রেনকে হাজার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়েছে, কিন্তু এখন তারা ইউক্রেনকে বাঁচাতে নয়, বরং তাদের সম্পদ দখলে মনোযোগী।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ৫০ শতাংশের মালিকানা চাই। ওয়াশিংটন বলছে, তারা ইউক্রেনকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অস্ত্র দিয়েছে, তা ফেরত দিতে হবে। এই অর্থ পরিশোধ করতে হলে ইউক্রেনকে তার প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে হবে।
জেলেনস্কির সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত
ট্রাম্প ইতোমধ্যে তার অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টকে কিয়েভ পাঠিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এখন প্রতিদান চায়। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত?
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প। কিন্তু এই আলোচনায় নেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি! তাই এখন প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কতটা যৌক্তিক ছিল?
আজ হয়তো জেলেনস্কি হিসাব কষে দেখছেন— যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাসে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনি কী পেলেন আর কী হারালেন? উত্তরটা হয়তো তিন বছর আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু এখন সেটা আরও করুণ বাস্তবতায় ধরা দিচ্ছে!
Geen reacties gevonden



















